বার্তা বিভাগ :
বাংলাদেশে উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ও মৃত্যু। সংক্রমণ প্রতিরোধে জনস্বাস্থ্য সম্পর্কিত ১৮টি নির্দেশনা জারি করে সরকার। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকেও করোনা নিয়ন্ত্রণে বিধিনিষেধ দেওয়া হয়।
কিন্তু এসব নির্দেশনা সঠিকভাবে মানা হচ্ছে না বলে মনে করে কোভিড-১৯ বিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি। আর এই না মানার ফলে সংক্রমণের হার অতি দ্রুত বাড়ছে। এ অবস্থায় সংক্রমণ কমানোর জন্য পরিপূর্ণভাবে অন্তত ১৪ দিন লকডাউনের সুপারিশ করেছে জাতীয় কমিটি।
৯ এপ্রিল শুক্রবার কোভিড-১৯ বিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লা স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়। গত ৭ এপ্রিল পরামর্শক কমিটির ৩০তম সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, নির্দেশনা ও বিধিনিষেধ আরও শক্তভাবে অনুসরণ করা দরকার মনে করে অন্তত দুই সপ্তাহের জন্য পূর্ণ লকডাউন ছাড়া এটা নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না বলে সভায় মতামত জানান কমিটির সদস্যরা।
বিশেষ করে সিটি করপোরেশন ও পৌরসভা এলাকায় পূর্ণ লকডাউন দেওয়ার সুপারিশ করা হয়। দুই সপ্তাহ শেষ হওয়ার আগে সংক্রমণের হার বিবেচনা করে আবার সিদ্ধান্ত নেওয়া যেতে পারে বলেও মতামত দিয়েছে কমিটি।
একইসঙ্গে সংক্রমণের এই ঊর্ধ্বগতিতে হাসপাতালের সাধারণ বেড, আইসিইউ সুবিধা, অক্সিজেন সরবরাহ বাড়ানোর জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সচেষ্ট জানিয়ে কমিটি আশা করছে, ডিএনসিসি হাসপাতাল আগামী সপ্তাহের মধ্যে চালু হবে।
হাসপাতালে রোগী ভর্তির বাড়তি চাপ থাকায় সরকারি পর্যায়ের এই কার্যক্রমের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে অতি দ্রুত আরও সক্ষমতা বাড়ানো প্রয়োজন বলে কমিটি মনে করে।