বার্তা বিভাগ :
আসন্ন ঈদুল আযহার ছুটিতে যাত্রীবাহি বাসসহ সবধরণের গণপরিবহন চলবে। তবে ঈদের তিন দিন ভারি যানবাহন চলাচল করবেনা বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
আসন্ন পবিত্র ঈদুল আযহায় গণপরিবহন চলাচল নিয়ে সৃষ্ট জটিলতা নিরসনে সিদ্ধান্ত স্পষ্ট করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি জানান, ঈদের ছুটিতে গণপরিবহন চলবে। তবে ঈদের আগে তিনদিন ভারী যানবাহন বন্ধ থাকবে। তিনি দাবি করেন, মহামারি করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির কারণে প্রায় দুই মাস গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও বর্তমানে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাচল করছে। ১৬ জুলাই বৃহস্পতিবার এক ভিডিও বার্তায় তিনি এসব কথা জানান।
করোনার কারণে গত ঈদুল ফিতরে গণপরিবহন বন্ধ ছিল। এবার চলবে কিনা, তা নিয়ে একাধিক বক্তব্য আসায় ধোঁয়াশা তৈরি হয়। এরমধ্যেই বুধবার (১৫ জুলাই) সচিবালয়ে এক সভার শুরুতে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ঈদের আগে পরে ৯ দিন গণপরিবহন বন্ধ থাকবে। সভা শেষে তিনি আবার বলেন, গণপরিবহন চলবে। তবে পণ্যবাহী বাহন ফেরিতে চলাচল বন্ধ থাকবে।
এ নিয়ে ভিডিও বার্তায় ওবায়দুল কাদের বলেন, ঈদে গণপরিবহন চলাচল নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। আমি আপনাদের বিষয়টি পরিষ্কার করতে চাই। আসন্ন ঈদুল আযহায় দেশব্যাপী গণপরিবহন চলাচল করবে। আর প্রতি বছরের ঈদযাত্রার মতো এবারও ভারী পরিবহন তিনদিন আগে থেকে বন্ধ থাকবে। তবে এরমধ্যে জরুরি সার্ভিস, অত্যাবশ্যকীয় পণ্য, যেমন- পচনশীল দ্রব্য ছাড়াও ওষুধ, গার্মেন্টস সামগ্রী ও কোরবানির পশুবাহী গাড়ি নিষেধাজ্ঞার আওতামুক্ত থাকবে।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) এ বিষয়ে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিস্তারিত জানাবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন মন্ত্রী।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আমি সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঈদযাত্রায় সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বনের আহ্বান জানাচ্ছি। না হয় ঈদের আনন্দ অচিরেই বিষাদে রূপ নিতে পারে। কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি না মানলে করোনা সংক্রমণের মাত্রা উচ্চ ঝুঁকিতে পৌঁছে যাবে বলে ইতোমধ্যে বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘আসুন আমরা সবাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে তার নির্দেশনাগুলো প্রতিপালন করি। স্বাস্থ্যসুরক্ষা, নিজেদের সুরক্ষা, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলি। আমরা ঘরে অবস্থান করি। যার যার কর্মস্থলে অবস্থান করি। এটাই সবার কাছে প্রত্যাশা।’
এর আগে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ থেকে এক চিঠিতেও ঈদে গণপরিবহন চলাচল বন্ধের সুপারিশ করা হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, আগামী ৩১ জুলাই বা ১ আগস্ট বাংলাদেশে ঈদুল আযহা উদযাপিত হবে।