আসন্ন কৃমি নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহে চট্টগ্রামে এই কর্মসূচি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ করার তাগিদ দিয়েঝেন চট্টগ্রামের জেলা সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি। ১১ মে মঙ্গলবার আয়োজিত এডভোকেসি সভায় তিনি এ তাগিদ দেন।
চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয়ের প্রোগ্রাম অর্গানাইজার গাজী মো. নুর হোসেন এ তথ্য জানান। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামী ১৬ থেকে ২০ মে জাতীয় কৃমি নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহ পালিত হবে। এ উপলক্ষে মঙ্গলবার চট্টগ্রাম নগরীর আন্দরকিল্লাস্থ জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় অডিটরিয়ামে জেলা পর্যায়ের এডভোকেসী সভা অনুষ্টিত হয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার ফাইলেরিয়াস নির্মূল, কৃমি নিয়ন্ত্রণ ও ক্ষুদে ডাক্তার কার্যক্রমের বাস্তবায়নে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সভার আয়োজন করেন।
এতে সভাপতির বক্তব্যে ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, প্রত্যেক উপজেলায় ৫-১৬ বছর বয়সী প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থী, বিদ্যালয় বহির্ভূত, পথ শিশু, শ্রমজীবি শিশু ও বেদে পরিবারের শিশুসহ সকল শিশুকে ক্ষুদে ডাক্তারদের মাধ্যমে এক ডোজ কৃমি নাশক ট্যাবলেট মেবেন্ডাজল-৫০০ মি.গ্রা. খাওয়ানো হবে। এটি চুষে খাবার ট্যাবলেট নয়, ভরা পেটে পানি দিয়ে গিলে খাওয়াতে হবে। কোন শিশু পুরো ট্যাবলেট গিলে খেতে অসমর্থ হলে তাকে জোর না করে ট্যাবলেট ভেঙ্গে টুকরা টুকরা করে গিলে খাওয়ানো যেতে পারে।
তিনি আরও বলেন, শিশুদের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ৩য় থেকে ১০ম শ্রেণির শিক্ষাথীদের মধ্যে থেকে বাচাই করে ক্ষুদে ডাক্তার টিম গঠন করা হবে। শিক্ষা প্রতিষ্টান খোলা থাকলে প্রধান শিক্ষক বা শ্রেণি শিক্ষকের পরামর্শ নিয়ে শিক্ষার্থীদের ওজন মাপানো, উচ্চতা নিধারণ, দৃষ্টিশক্তি ও পুষ্টিহীনতা নির্ণয়সহ স্বাস্থ্য পরীক্ষায় তারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। নিজেরা নিজের স্বাস্থ্য সম্পর্কে সজাগ থাকার পাশাপাশি পরিবার ও সমাজকে এ বিষয়ে সচেতন করবে। স্বাস্থ্য কর্মীরা নির্দিষ্ট সময়ে বিদ্যালয়গুলো (খোলা থাকা সাপেক্ষে) পরিদর্শনের মাধ্যমে ক্ষুদে ডাক্তারদের কার্যক্রম তদারকি করবে। একই সাথে স্বাস্থ্য পরীক্ষার তালিকা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার জন্য সংশ্লিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করতে প্রতিষ্ঠান প্রধানকে আন্তরিক থাকতে হবে। উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা এবং স্বাস্থ্য পরিদর্শকগণকেও এব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সিভিল সার্জন কার্যালয়ের এমওডিসি ডা. মোহাম্মদ নুরুল হায়দার, ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ আসিফ খান, জেলা স্বাস্থ্য তত্বাবধায়ক সুজন বড়–য়া, এমওসিএস ডা. মোহাম্মদ ওয়াজেদ চৌধুরী অভি, জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এস.এম জিয়াউল হায়দার হেনরী ও সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার হৃষিকেশ শীল।
সভায় বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের কর্মকর্তা, প্রতিনিধি, শিক্ষক, স্যানিটারী পরিদর্শক, স্বাস্থ্য পরিদর্শক, স্বাস্থ্য কর্মী, মেডিকেল টেকনোলজিষ্ট, ইপিআই কর্মকর্তা, পরিবার পরিকল্পনা কর্মী ও কৃমি নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমে নিয়োজিত কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।