চট্টগ্রাম অফিস :
‘ফয়সালা অন দ্য স্পট’ লক্ষ্যকে সামনে রেখে অভিনব ক্যারাভান কার্যক্রম নিয়ে চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন প্রান্ত চষে বেড়াচ্ছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন।
জানা গেছে, চসিক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন নাগরিকসেবা বাস্তবায়নের জন্য ক্যারাভান কার্যক্রম শুরু করেছেন। ২৪ আগস্ট সোমবার দুপুরে নগরীর বহদ্দারহাটে আরাকান সড়কে ক্যারাভান কর্মসূচীর আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরুর প্রথম দিনে চসিকের কর্মকর্তাদের নিয়ে উপস্থিত হন সুজন। এসময় তিনি পথচারীদের সাথে সরাসরি কথা বলে তাদের বিভিন্ন সমস্যা জানতে চান।
এসময় প্রশাসক জানান, জনদূর্ভোগের যে কারণগুলো স্পষ্ট হয়ে উঠেছে তা চিহ্নিত করে সুরাহা করাটা তাঁর দায়িত্ব। সুরাহা করতে গিয়ে যে প্রতিবন্ধকতাগুলোর সম্মুখিন হয়েছেন তা অবশ্যই অতিক্রম করে যাবেন বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
প্রশাসক আরো জানিয়েছেন যে, তার এই উদ্দেশ্য পূরণে চসিকের সকল বিভাগের কর্মকর্তাদের প্রস্তুত থাকার নির্দেশনা দিয়েছেন। এই নির্দেশনানুযায়ী অর্পিত দায়িত্ব পালনে কেউ ব্যর্থ হলে তাকে জবাবদিহিতার মুখোমুখি হতে হবে বলে জানান তিনি।
এসময় সাবেক কাউন্সিলর সাইফুদ্দিন সাইফু, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা শেখ সফিকুল মান্নান সিদ্দিকী, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আবু সালেহ, নির্বাহী প্রকৌশলী ঝুলন কুমার দাশ, উপপ্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোরশেদুল আলম চৌধুরীসহ বিভিন্ন রাজনীতিক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
ক্যারাভান কার্যক্রম সম্পর্কে চসিক প্রশাসক সুজন বলেন, চট্টগ্রাম নগরীর সড়ক ও জনপথ, ড্রেন, ফুটপাতে যে সমস্যা বিরাজমান তা মিটিং কিংবা কমিটি গঠন করে সময়ক্ষেপন না করে সরেজমিনে মাঠে থেকে তা স্পটে সমাধান করছেন। এছাড়াও ক্যারাভান কার্যক্রমের অধিনে চলতি পথে ক্ষতিগ্রস্থ সড়ক, নষ্ট সড়কবাতি, পরিচ্ছন্ন কার্যক্রমসহ যে সকল সমস্যার কারণে নাগরিক দূর্ভোগ সৃষ্টি হয় তা তাৎক্ষণিকভাবে সমাধান করেছেন।
প্রথম দিনে প্রশাসক পথচারীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় মাস্ক তুলে দিয়ে বলেন, আজ ক্যারাভান কার্যক্রমের প্রথম দিন। পরবর্তীতে সপ্তাহে অন্তত একদিন এই প্রোগ্রাম নিয়ে নগরীর অন্যান্য প্রধান সড়কগুলোতে যাবেন। প্রধান সড়কে সম্পন্ন হলে নগরের অলিগলিতে যাওয়ারও পরিকল্পনা রয়েছে। মূলত এই কর্মসূচির মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে নাগরিক সমস্যার সমাধান ও জনসম্পৃক্ততার চেষ্টা করা হচ্ছে। প্রশাসক শুনছেন তাদের অভিযোগ ও পরামর্শ। এসময় সাধারণ মানুষের সাথে পথসভা করেন প্রশাসক। তিনি তাদের অভাব-অভিযোগগুলো শুনে তা সমাধানের দিক নির্দেশনা দেন।