বার্তা বিভাগ :
চট্টগ্রাম বন্দরের ৩ নম্বর শেডে ১৫ জুলাই বুধবার বিকেলে অগ্নিকান্ড ঘটেছে। পরে ১২টি অগ্নিনির্বাপন গাড়ি দীর্ঘ সময় চেষ্টা চালিয়ে সন্ধ্যায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছে ফায়ার সার্ভিস। এঘটনায় ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
বুধবার বিকেল ৪টার দিকে আগুনের সূত্রপাত হওয়ার পর বন্দরের নিজস্ব অগ্নিনির্বাপণ গাড়ি ছাড়াও আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করেছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের তিনটি ইউনিট ও বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ফায়ার ট্রাক। আগুন লাগার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এসএম আবুল কালাম আজাদসহ বন্দরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ সহকারী পরিচালক আলী আকবর সন্ধ্যায় জানান, আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। অগ্নিকান্ডস্থলে তরল জাতীয় পদার্থ ভর্তি ড্রাম, কাপড়ের রোল, নথিপত্রসহ বিভিন্ন ধরণের পুরনো পণ্যসামগ্রী দেখা গেছে।
তিনি জানান, নৌবাহিনী ও বন্দরের অগ্নিনির্বাপণকারী গাড়ির বাইরে ফায়ার সার্ভিসের আগ্রাবাদ, বন্দর ও সিইপিজেড ফায়ার স্টেশনের ১২টি গাড়ি আগুন নেভানোর কাজে অংশ নিয়েছে। আগুন লাগার কারণ ও ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণে কাজ চলছে বলে জানান তিনি।
চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব মো. ওমর ফারুক জানান, ৩ নম্বর শেডে ধ্বংসযোগ্য কিছু পণ্য রাখা হয়েছিলো। আগুন লাগার কারণ ও ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয়ে বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (প্রশাসন ও পরিকল্পনা) মো. জাফর আলমকে প্রধান করে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
জানা গেছে, ৩ নম্বর শেডে কেমিক্যাল, ফেব্রিক্সসহ বিভিন্ন ধরণের দাহ্য পণ্য থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণে বেগ পেতে হয়েছে ফায়ার সার্ভিসকে। অনেক দূর থেকে আগুনের শিখা দেখা গেছে। এসময় বন্দরের অন্যান্য এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ক্ষয়-ক্ষতি এড়াতে শেডের কাছে ৩ ও ৪ নম্বর জেটিতে থাকা দুইটি জাহাজ নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার পদক্ষেপ নিলেও আগুন নিয়ন্ত্রণে আসায় সেগুলো সরানো হয়নি।