বার্তা বিভাগ :
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের ঘোষিত ফলাফলে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হলেন আওয়ামীলীগ দলীয় মেয়র প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা এম রেজাউল করিম চৌধুরী।
বুধবার রাত পৌনে ২টার দিকে নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. হাসানুজ্জামান এই ফলাফল ঘোষণা করেন। তিনি জানান, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মোট ৭৩৫টি কেন্দ্রের মধ্যে ৭৩৩টি কেন্দ্রের ফলাফল পাওয়া গেছে। বাকি দুইটি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে।
তিনি জানান, প্রাপ্ত ফলাফলে আওয়ামীলীগ দলীয় নৌকা প্রতিকের মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরী পেয়েছেন মোট ৩ লাখ ৬৯ হাজার ২৪৮ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি বিএনপি দলীয় মেয়র প্রার্থী ধানের শীষ প্রতিকের ডা, শাহাদাত হোসেন পেয়েছেন ৫২ হাজার ৪৮৯ ভোট। তৃতীয় অবস্থানে থাকা ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের হাতপাখা প্রতিকের প্রার্থী আলহাজ্ব জান্নাতুল ইসলাম পেয়েছেন ৪ হাজার ৯৮০ ভোট। অন্য প্রার্থীদের মধ্যে মোমবাতি প্রতীক নিয়ে বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের এমএ মতিন পেয়েছেন ২ হাজার ১২৬ ভোট, আম প্রতীক নিয়ে ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) আবুল মনজুর পেয়েছেন ৪ হাজার ৬৫৩ ভোট, চেয়ার প্রতীক নিয়ে ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের মুহাম্মদ ওয়াহেদ মুরাদ পেয়েছেন ১ হাজার ১০৯ ভোট ও হাতি প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র হিসেবে খোকন চৌধুরী পেয়েছেন ৮৮৫ ভোট।
২৭ জানুয়ারী বুধবার অনুষ্ঠিত হয় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ভোটগ্রহণ। এবার মেয়র পদের জন্য ৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। এরা হলেন- আওয়ামী লীগ মনোনীত এম রেজাউল করিম চৌধুরী (নৌকা), বিএনপি মনোনীত ডা. শাহাদাত হোসেন (ধানের শীষ), বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের মাওলানা এমএ মতিন (মোমবাতি), ন্যাশনাল পিপলস পার্টির আবুল মনজুর (আম), ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের মুহাম্মদ ওয়াহেদ মুরাদ (চেয়ার), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. জান্নাতুল ইসলাম (হাতপাখা) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী খোকন চৌধুরী (হাতি)।
১৪টি সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে প্রার্থী ছিলেন ৫৭ জন। সাধারণ ৪১ ওয়ার্ডের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ৩৯টি ওয়ার্ডে। ১৮নং পূর্ব বাকলিয়া ওয়ার্ডে সাবেক কাউন্সিলর হারুনুর রশিদ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। আর ৩১ নং আলকরণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থী তারেক সোলেমান সেলিম মৃত্যুবরণ করায় ওই পদে নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। তবে ওই ওয়ার্ডে মেয়র ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ভোটগ্রহণ হয়। ৩৭ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগ প্রার্থী হোসেন মুরাদ ইন্তেকাল করলে সেখানে আবদুল মান্নানকে চূড়ান্ত প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয়। ফলে ৩৯টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে লড়েছেন ১৬৮ প্রার্থী।