বার্তা বিভাগ :
সাধারণ জনগণের করোনাকালীন প্রাণীজ পুষ্টি বাড়াতে সারাদেশে ভ্রাম্যমাণ পদ্ধতিতে ন্যায্যমূল্যে মাছ, দুধ, ডিম ও মাংস বিক্রি শুরু হয়েছে।
জানা গেছে, ৭ এপ্রিল বুধবার থেকে এই কার্যক্রম শুরু করেছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বুধবার রাজধানীর সচিবালয় গেট, খামারবাড়ি, মিরপুর-১০ নম্বর গোল চত্বর ও ধানমন্ডি এলাকায় ভ্রাম্যমাণ বিক্রি শুরু হয়েছে। এ কার্যক্রমের শুরুতে রাজধানীতে প্রায় ১ হাজার ২০০ লিটার দুধ বিক্রি হয়েছে।
এছাড়া করোনা পরিস্থিতিতে ক্রমান্বয়ে ঢাকার ১০টি স্থানে ডেইরি ও পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনসহ প্রান্তিক খামারিদের সম্পৃক্ত করে ভ্রাম্যমাণ বিক্রি অব্যাহত রাখার পরিকল্পনা নিয়েছে ঢাকা জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর। পাশাপাশি দেশের সব জেলা ও উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের উদ্যোগে দুধ, ডিম, ও মাংসের ভ্রাম্যমাণ বিক্রয় চলমান থাকবে। ভ্রাম্যমাণ বিক্রয়ের মাধ্যমে খামারিরা ন্যায্যমূল্যে সরাসরি ভোক্তাদের কাছে দুধ, ডিম ও মাংস বিক্রির সুযোগ পাবেন।
সূত্র জানায়, বিদ্যমান করোনা পরিস্থিতিতে সরকার ঘোষিত চলমান নিষেধাজ্ঞাকালে মাছ, হাঁস মুরগি, গবাদিপশু, দুধ, ডিম, মাছের পোনা, মুরগির বাচ্চা, পশু চিকিৎসা সামগ্রী, টিকা, কৃত্রিম প্রজনন সামগ্রী, মৎস্য ও পশু খাদ্য ঔষধ ইত্যাদি পরিবহন ও বিপণন কার্যক্রম নিশ্চিতকরণ বিষয়ে ৬ এপ্রিল মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় আয়োজিত ভার্চ্যুয়াল সভায় সারাদেশের কর্মকর্তাদের ভ্রাম্যমাণ বিক্রয় চালুর নির্দেশ দেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
প্রসঙ্গত, গতবছর করোনা সংকটে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে খামারিদের উৎপাদিত প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকা মূল্যের মাছ, মাংস, দুধ ও ডিম ভ্রাম্যমাণ ব্যবস্থায় বিক্রয় করা হয়েছে।