বার্তা বিভাগ :
সারাদেশে প্রথম ধাপে অনুষ্ঠিত ২৪টি পৌরসভা নির্বাচনে ১৮টিতে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থীরা। স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জয় পেয়েছেন তিনটিতে। আর বিএনপির মেয়র প্রার্থীরা দুটি পৌরসভায় জয়ী হয়েছেন। এদিকে ভোট শেষ হওয়ার আগে এক প্রার্থীর মৃত্যু হওয়ায় খুলনার চালনা পৌরসভা নির্বাচনের মেয়র পদের ফল স্থগিত রাখা হয়েছে।
২৮ ডিসেম্বর সোমবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলে টানা ভোট গ্রহণ। ২৪টি পৌরসভাতেই ভোট নেওয়া হয়েছে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম)।
ঘোষিত বেসরকারি ফলাফলে আওয়ামী লীগ থেকে জয়ীরা হলেন-
কুড়িগ্রাম পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়র পদপ্রার্থী মো. কাজিউল ইসলাম বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর প্রাপ্ত ভোট ২০ হাজার ৫৭১।

বরগুনার বেতাগী পৌরসভা নির্বাচনে বেসরকারিভাবে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের মেয়র পদপ্রার্থী এ বি এম গোলাম কবির। তিনি পেয়েছেন ৬ হাজার ১০২ ভোট।
বরিশালের বাকেরগঞ্জের পৌর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মো. লোকমান হোসেন ডাকুয়া ৭ হাজার ৭১ ভোট পেয়ে বেসরকরিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
উজিরপুর পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী গিয়াসউদ্দিন ব্যাপারী পেয়েছেন ৫ হাজার ৭০৫ ভোট।
চুয়াডাঙ্গা পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম মালিক বেসরকারিভাবে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ২২ হাজার ৩৩৯।
মৌলভীবাজারের বড়লেখা পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বর্তমান মেয়র আবুল ইমাম মো. কামরান চৌধুরী জয়লাভ করেছেন। তিনি ভোট পেয়েছেন ৫ হাজার ৯৭৮।
মানিকগঞ্জ পৌর নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. রমজান আলী জয়লাভ করেছেন। তিনি ৩১ হাজার ৫৮৫ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হন।
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর পৌরসভার মেয়র পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মনির আক্তার খান তরু লোদী জয়লাভ করেছেন। তিনি পেয়েছেন ২৯ হাজার ৮৭ ভোট। বিএনপির প্রার্থী মাহমুদুল হাসান ধানের শীষ প্রতীকে পেয়েছেন ১ হাজার ৮৬৭ ভোট। এ ছাড়া ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী খন্দকার ইমরান হাতপাখা প্রতীকে ১ হাজার ৮৭ এবং জাতীয় পার্টির (এরশাদ) মুক্তার হোসেন লাঙ্গল প্রতীকে ২৩৮ ভোট পেয়েছেন।
পঞ্চগড় পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী জাকিয়া খাতুন মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। ১২ হাজার ৫৬ ভোট পেয়ে তিনি বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হন।
চট্টগ্রামের সীতাকুন্ড পৌরসভা নির্বাচনে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী বদিউল আলম। তিনি ভোট পেয়েছেন ১০ হাজার ৮২৯ ভোট।
সুনামগঞ্জের দিরাই পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী বিশ্বজিৎ রায়। তিনি পেয়েছেন ৫ হাজার ৯১০ ভোট।
ধামরাই পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী গোলাম কবির ২৩ হাজার ৩১০ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
রংপুরের বদরগঞ্জ পৌরসভার নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আহসানুল হক ওরফে টুটুল চৌধুরী মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি ভোট পেয়েছেন ৯ হাজার ৭৩৩।
কুষ্টিয়ার খোকসা পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী তারিকুল ইসলাম। তিনি পেয়েছেন ৯ হাজার ৩৮২ ভোট।
নেত্রকোনার মদন পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী সাইফুল ইসলাম ৩ হাজার ১৪১ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন।
পাবনার চাটমোহর পৌরসভায় আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী সাখাওয়াত হোসেন বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি ৬ হাজার ৮১২ ভোট পেয়েছেন।
ময়মনসিংহের গফরগাঁও পৌরসভায় জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী ইকবাল হোসেন। বেসরকারি ফলাফলে তিনি পেয়েছেন ১২ হাজার ৩৯৮ ভোট।

রাজশাহীর কাটাখালী পৌরসভায় ১৬ হাজার ১৬৫ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে জয়ী হয়েছেন আওয়ামীলীগ প্রার্থী আব্বাস আলী।

বিএনপি থেকে বিজয়ীরা হলেন-
রাজশাহীর পুঠিয়ায় বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী আল মামুন ৫ হাজার ৯২০ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী এম এফ আহমেদ অলি জয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৪ হাজার ৪১ ভোট।

বিজয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থীরা হলেন-
দিনাজপুরের ফুলবাড়ী পৌর নির্বাচনে মেয়র পদে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন নারিকেলগাছ প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. মাহামুদ আলম লিটন। তিনি পেয়েছেন ৭ হাজার ৭৫০ ভোট।
পটুয়াখালীর কুয়াকাটা পৌরসভা নির্বাচনে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী মো. আনোয়ার হাওলাদার ৩ হাজার ৩৩৩ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন।
ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে মেয়র পদে নির্বাচিত হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ইকরামুল হক। তিনি আওয়ামী লীগের ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী হিসেবে নারিকেলগাছ প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৯ হাজার ১৩৩ ভোট।