বার্তা বিভাগ :
বিশ্বে করোনা ভ্যাকসিন আবিষ্কার হলে সবার আগে তা বাংলাদেশে আসবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যসচিব মো. আবদুল মান্নান। আর এই ভ্যাকসিন বাংলাদেশ বিনামূল্যে পাবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
স্বাস্থ্যসচিব বলেন, ‘যুক্তরাজ্য, চীনসহ অনেক দেশই ভ্যাকসিন আবিষ্কারের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে। তথ্যমতে, বিশ্বের যেসব দেশের মাথাপিছু আয় ৪ হাজার ডলারের নিচে, সেসব দেশ এই ভ্যাকসিন বিনামূল্যে পাবে। যেহেতু বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় দুই হাজার মার্কিন ডলারের কাছাকাছি, সুতরাং বাংলাদেশ এই ভ্যাকসিন বিনা মূল্যেই পেয়ে যাবে।’
২০ জুলাই সোমবার সকালে সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনলাইনভিত্তিক মিটিং প্লাটফর্ম ‘জুম’-এর মাধ্যমে ‘জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটি’র এক বিশেষ সভায় সভাপতির বক্তব্যে সচিব এসব কথা বলেন।
অনলাইন সভায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদ, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) শেখ মুজিবর রহমানসহ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সভার কার্যক্রম সঞ্চালনের দায়িত্বে ছিলেন জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ।
আবদুল মান্নান বলেন, ‘ভ্যাকসিন দেশে এলে দেশের অন্তত ৮০ শতাংশ মানুষকে ক্রমান্বয়ে বিতরণের পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে। একই সঙ্গে ভ্যাকসিন আনার প্রক্রিয়া ও বিতরণের জন্যও সরকার যথার্থ পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।’
সরকারের কাছে বর্তমানে প্রায় তিন লাখ কীট মজুত রয়েছে জানিয়ে স্বাস্থ্যসচিব বলেন, ‘এর পরও কীট আমদানি কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। প্রতিদিন ১০ হাজার করে পরীক্ষা করতে থাকলে মজুত কীট দিয়েই আরও অন্তত এক মাস চালানো যাবে। এর মধ্যে নিশ্চয়ই আরও কিছু কীট আমরা আমদানি করতে সক্ষম হব। সুতরাং দেশে করোনা পরীক্ষায় কোনো সংকট নেই। নিশ্চয়ই করোনা পরীক্ষা বৃদ্ধিতে আরও উদ্যোগ নেওয়া হবে।’
বিএসএমএমইউর উপাচার্য কনক কান্তি বড়ুয়া বলেন, দেশে বর্তমানে করোনা টেস্টের পরিমাণ কমে গেছে। করোনা মোকাবিলা করতে নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা আরও বাড়াতে হবে।