বিনোদন রিপোর্টার :
মানুষের যাপিত জীবনে হাজারো সমস্যা বিরাজমান। ক’জনই বা তার খোঁজ রাখেন! আর একটু উপরে উঠে গেলেতো কথাই নেই। তবে সে ক্ষেত্রে ব্যাতিকম টালিউডের জনপ্রিয় নায়িকা ও সংসদ সদস্য নুসরাত জাহান। মানুষের ‘দুয়ারে দুয়ারে’ গিয়ে শুনছেন তাঁদের অভাব-অভিযোগ। আর এতে করে ব্যাপক সাড়া পড়েছে সাধারণ মহলে।
৪ ডিসেম্বর শনিবার সরেজমিনে বসিরহাট এলাকার মানুষজনের সঙ্গে দীর্ঘ সময় ধরে কথাবার্তা বলেন নুসরাত। মন দিয়ে শোনেন এলাকার মহিলাদের সমস্যার কথা। তাকে কাছে পেয়ে খুশি হন বসিরহাটবাসী। শুধু করোনা পরিস্থিতিই নয়, ঘূর্ণিঝড় আম্পানেও নুসরাতের নির্বাচনী এলাকায় ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেইসব বাধা অতিক্রম করে কেমন আছে এলাকাবাসী, সেই খোঁজ-খবর নিলেন নুসরাত।
এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে নুসরাত বলেন, এখানে রাজনীতির কথা বলতে আসিনি। রাজনীতির কোনও বিষয় এখানে নেই। আমি এসেছি মানুষ ভালো আছে কিনা দেখতে। সবাই ভালো থাকুক। সবার পরিবার, বউ-বাচ্চা খেয়ে পরে বাঁচুক- এটাই আমাদের চাওয়া।
নুসরাত জাহান আরও বলেন, মানুষের মুখে হাসি দেখছি। তারা সুবজ সাথী পাচ্ছে, স্বাস্থ্যসাথী পাচ্ছে। খুব সুন্দরভাবে এখানে ক্যাম্প আয়োজন করা হয়েছে, আমাদের এখানকার নেতৃত্বে। বাংলায় কিন্তু সত্যি ভালো থাকাটা সহজ।
জানা গেছে, ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যজুড়ে চালু হয়েছে সরকারের নতুন প্রকল্প ‘দুয়ারে দুয়ারে সরকার’। ১ ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই প্রকল্প বা কর্মসূচির অধীনে বাড়ি বাড়ি গিয়ে সাধারণ মানুষের অভাব-অভিযোগ শুনবেন প্রশাসনের কর্মীরা।
সঙ্গে কেউ কোনও সরকারি প্রকল্প থেকে বঞ্চিত হলে তাকে সেই প্রকল্পের আওতায় আনার প্রক্রিয়াও শুরু করবেন তারা।
এই কর্মসূচিতে স্বাস্থ্যসাথী, খাদ্যসাথী, শিক্ষাশ্রী, রূপশ্রী ও কৃষক বন্ধুর মতো ১০টি প্রকল্প রয়েছে।
স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের আওতায় পশ্চিমবঙ্গের সকল মানুষকে অন্তর্ভুক্ত করার কথা আগেই জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই প্রকল্পে রাজ্যের প্রতিটি পরিবার ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা পাবে। এইসব প্রকল্প বা সরকারি পরিষেবার বিষয়ে কোনও অভিযোগ থাকলে, সে সবও খতিয়ে দেখা হবে।