বার্তা বিভাগ :
সারাবিশ্বে করোনা ভাইরাসের করাল গ্রাসে বিপর্যস্ত জনজীবন। প্রতিনিয়ত বাড়ছে করোনার প্রকোপ। এরই মাঝে স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে এদেশে বাড়ছে উদাসীনতা। তাই এবার মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করতে কঠোর হতে যাচ্ছে সরকার।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বেড়েছে করোনার প্রকোপ। শীত মৌসুমে বাংলাদেশেও করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ জন্য সর্তক করে দিয়েছে সরকার। ভাইরাস থেকে সুরক্ষায় মাস্ক ব্যবহারের উপর জোর দেওয়া হলেও মানুষের মাঝে এ বিষয়ে দেখা দিয়েছে বেশ উদাসীনতা। তাই কঠোর হতে যাচ্ছে সরকার।
ইতোমধ্যে মাস্ক ছাড়া কোনো সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে সেবা না দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া মসজিদেও মাস্ক ব্যবহারের উপর কড়াকড়ি করা হচ্ছে।
২ নভেম্বর সোমবার মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘নো মাস্ক নো সার্ভিস’ ব্যাপকভাবে বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে। কোনোভাবেই মাস্ক ছাড়া যাতে কেউ কোথাও না আসে। এটা অলরেডি সব জায়গায় বলে দিয়েছি। সামাজিক আন্দোলন, ক্যাম্পেইন বা লিগ্যাল যেভাবেই হোক এটাকে নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, মসজিদে বলে দেয়া হয়েছে যে, মাস্ক ছাড়া মসজিদে কাউকে প্রবেশ করতে দেয়া হবে না। বায়তুল মোকাররমের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে আমি সারপ্রাইজড হয়েছি। কেউ তিন ফুটের গ্যাপ মেনে দাঁড়াচ্ছে না। তারা নিয়ম মেনে চলছে না। কর্মকর্তা কর্মচারী কেউ যদি মাস্ক ছাড়া মসজিদে যান তাহলে তাকে সেজন্য ‘পে (জরিমানা)’ করতে হবে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, সবাইকে কেয়ারফুল থাকতে হবে। আমাদের যে অবস্থা সবাই মাস্ক ব্যবহার করলে ভালো অবস্থানে থাকা যাবে।
তাই বাইরে গেলে সর্বত্র সকলকে অবশ্যই মাস্ক পরার উপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।