সারাদেশ ডেস্ক :
এক মমতাজের জন্য তাজমহল গড়ে পৃথিবীখ্যাত হয়েছেন স¤্রাট শাহজাহান। অধুনা ২/১ জন ধনকূবের তাদের স্ত্রীর জন্য বিমান ক্রয়, বাড়ি ক্রয় করে উপহার দেয়া কথাও আমরা শুনেছি। তাদের দলে এবার নাম লেখালেন বাংলাদেশের লালমনিরহাটের এক কৃষক। তিনি স্ত্রীর খুশির জন্য কিনে ফেলেছেন আস্ত এক হাতি!
হাতি কিনে আনা সেই কৃষকের নাম দুলাল চন্দ্র রায়। তিনি লালমনিরহাট সদর উপজেলার পঞ্চগ্রাম ইউনিয়নের রথিধর দেউতি গ্রামের মৃত বীরেন্দ্র নাথের ছেলে।
জানা যায়, প্রাণী সংরক্ষণ ও যতœবান হতে দৈব নির্দেশ (স্বপ্নে আদিষ্ট) পান দুলাল চন্দ্রের স্ত্রী তুলসী রানী দাসী। ওই দৈব নির্দেশ পালনে কয়েক বছর আগে স্বামীর কাছে প্রথমে একটি ঘোড়া, রাজহাঁস ও ছাগল কিনে তাদের পরিচর্যা করেন তুলসী রানী দাসী। এক বছর আগে আবারো দৈব নির্দেশ পান হাতি কিনে যতœ নেওয়ার। এ নির্দেশনা পেয়ে পুনরায় স্বামী দুলালের কাছে হাতি কিনতে বায়না ধরেন তুলসী রানী।
স্ত্রীর সেই স্বপ্ন পূরণ করতে ১১ বিঘা জমির দুই বিঘা বিক্রি করে হাতি ক্রয়ের পরিকল্পনা নেন দুলাল চন্দ্র। পরিকল্পনা করে থেমে থাকেননি বরং খোঁজ-খবর নিয়ে সিলেটের মৌলভীবাজার গিয়ে সাড়ে ১৬ লাখ টাকায় হাতি কেনেন তিনি। ২০ হাজার টাকা ট্রাক ভাড়া দিয়ে হাতি নিয়ে গত সপ্তাহে বাড়ি ফেরেন কৃষক দুলাল। হাতিকে দেখভাল করতে ইব্রাহীম মিয়া নামে এক মাহুতকে প্রতি মাসে ১৫ হাজার টাকা বেতনে মৌলভীবাজার থেকে নিয়ে আসেন তিনি।
হাতির মালিক দুলাল চন্দ্র রায় বলেন, স্ত্রীর দৈবস্বপ্ন পূরণে জমি বিক্রি করে সাড়ে ১৬ লাখ টাকায় হাতি কিনেছি। হাতিটির দেখভাল করতে মৌলভীবাজার থেকে প্রতি মাসে ১৫ হাজার টাকা বেতনে মাহুতকে নিয়ে এসেছি। যাতে হাতির পরিচর্যায় কোনো সমস্যা না হয়। আপাতত হাতির পিছনে মাহুতের বেতন এবং কলাগাছের জন্য দৈনিক ১০০-১৫০ শত টাকা খরচ হচ্ছে। এর আগেও ঘোড়া ও রাজহাঁস কিনতে বলায় সেটাও কিনে দিয়েছি। স্ত্রীকে খুশি করতেই হাতিটি কিনেছি, যোগ করেন দুলাল।