বাংলাদেশের কোথাও বুধবার ১৪৪২ হিজরী সালের শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। ফলে এবার রমজানের ৩০টি রোজা সম্পন্ন হবে এবং আগামীকাল ১৪ মে শুক্রবার বাংলাদেশে পালিত হবে ঈদুল ফিতর বা রোজার ঈদ।
সার্বিক পর্যালোচনা এবং চাঁদ পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে ১২ মে বুধবার এই সিদ্ধান্ত জানায় জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি। এর আগে সন্ধ্যায় জাতীয় মসজিদ বাইতুল মোকাররমে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে কমিটির বৈঠক বসে।
বৈঠক শেষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভাপতি ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান জানান, বাংলাদেশের আকাশে বুধবার (১২ মে) শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখার খবর পাওয়া যায়নি। ফলে বৃহস্পতিবার ৩০ রমজান পূর্ণ হবে এবং শুক্রবার (১৪ মে) ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে।
গত বছরের মতো এবারও দেশে করোনা সংক্রমণ অব্যাহত থাকায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঈদ উদযাপন করতে হবে দেশবাসীকে। সংক্রমণ ঠেকাতে ঈদের নামাজ খোলা মাঠে না পড়ে মসজিদে পড়ার জন্য এবং কোলাকুলি না করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী।
কারণ, সরকার ইতোমধ্যে সারাদেশে 'লকডাউন' ঘোষণা করেছে এবং ঈদের ছুটিতে সবাইকে কর্মস্থল এলাকায় থেকে ঈদ উদযাপন করার নির্দেশনা দিয়েছে।
প্রসঙ্গত,মাহে রমজানের একমাস জুড়ে সিয়াম সাধনার পর শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখে ঈদুল ফিতর উদযাপন করে মুসলমানরা। ঈদুল ফিতর আরবি শব্দ। এর অর্থ রোজা ভাঙার দিবস। ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের দুটো সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসবের একটি হলো ঈদুল ফিতর। ধর্মীয় পরিভাষায় একে ইয়াউমুল জাএজ (পুরস্কারের দিবস) হিসেবেও বর্ণনা করা হয়েছে। মুসলমানেরা এই দিনটি ধর্মীয় মূল্যবোধ ও কর্তব্যসহ আনন্দের সাথে পালন করে থাকেন। ঈদের দিন সকালে দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ পড়া হয়। এই ঈদে মুসলমানরা সাদাকাতুল ফিতর, যাকাতসহ দান-খয়রাত দিয়ে থাকেন। ঘরে ঘরে আয়োজন হয় সেমাইসহ বিভিন্ন মিষ্টান্ন এবং উন্নতমানের খাবার দাবার।
মুসলমানদের এই উদযাপনে অন্যান্য ধর্মাবলম্বীরাও শুভেচ্ছা বিনিময় করে থাকেন।
ঈদ উপলক্ষ্যে দেশবাসীর উদ্দেশ্যে বানী দেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকার প্রধানগণ পারস্পরিক সৌহার্দ্র বিনিময় করেন। এদিনে বিভিন্ন ইয়াতিমখানা, মাদ্রাসা, ভবঘুরে কেন্দ্রে প্রদান করা হয় ভালো খাবার। কারাগারেও পরিবেশন করা হয় উন্নত খাবার।