1. [email protected] : Administrator :
  2. [email protected] : mukulislam :
  3. [email protected] : newsman :
  4. [email protected] : Osman Goni : Osman Goni
  5. [email protected] : Yousuf :
বিশ্বে ৩৩ ভাগ শিশুর রক্তে ঝুঁকিপূর্ণ সিসা! - SHAPLA TELEVISION
June 8, 2025, 3:06 am

বিশ্বে ৩৩ ভাগ শিশুর রক্তে ঝুঁকিপূর্ণ সিসা!

Reporter Name
  • Update Time : রবিবার, আগস্ট ২, ২০২০
  • 312 Time View
শিশুর রক্তে ঝুঁকিপূর্ণ সিসা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
বিশ্বের প্রায় ৩৩ শতাংশ শিশুর শরীরে উচ্চমাত্রায় সিসা রয়েছে! যা বিশ্বের কোটি কোটি শিশুকে অপূরণীয় মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যঝুঁকির মুখে ঠেলে দিচ্ছে। নতুন এক গবেষণায় এসব তথ্য উঠে এসেছে।
জাতিসংঘের শিশু তহবিল ‘ইউনিসেফ’ ও পরিবেশবাদী সংগঠন ‘পিওর আর্থ’ এই গবেষণা চালায়। গবেষণায় বলা হয়, বিশ্বের ৮০ কোটি শিশুর প্রত্যেকের শরীরের প্রতি ডেসিলিটার রক্তে ৫ মাইক্রোগ্রাম সিসা রয়েছে। অনেকের শরীরে এর থেকেও বেশি সিসা রয়েছে। এই সিসা শিশুর মস্তিষ্ক, স্নায়ুতন্ত্র, হৃদযন্ত্র ও ফুসফুসের মতো গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের বিকাশে বাধা দেয় এবং ক্ষতি সাধন করে।
শিশুর রক্তে সিসা ঝুঁকিপূর্ণ মাত্রায় বাড়ার জন্য মানুষের কৃতকর্মকে দায়ী করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি)। ইউনিসেফের প্রতিবেদন অনুসারে, যথোপযুক্ত পদ্ধতি ব্যবহার না করে ব্যাটারি পুনরায় ব্যবহারের উপযোগী করা এবং বিভিন্ন ধরণের ধাতব পদার্থ উন্মুক্ত স্থানে গলানোর কারণে শিশুদের রক্তে সিসার পরিমাণ বাড়ছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বিশ্বজুড়ে চালানো এই গবেষণা থেকে এটা খুব স্পষ্টভাবে বলা যায়, শিশুদের শরীরে ব্যাপক হারে বিষাক্ত সিসা প্রবেশ করছে, যা এত দিন অজানাই ছিল। শিশুদের শরীরে সিসা প্রবেশের অন্যতম উপায় হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে লিড-অ্যাসিড ব্যাটারির রিসাইক্লিং এবং বাসায় ব্যবহৃত ইলেকট্রনিক পণ্য থেকে নিঃসরিত সিসা ও সিসার পাত্র। বলা হয়েছে, পাত্র থেকে খাবারের মাধ্যমে এই সিসা মানুষের শরীরে প্রবেশ করছে।
তবে শিশুদের শরীরে এই বিষাক্ত ধাতু প্রবেশের জন্য অন্যতম হোতা হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে লেড-অ্যাসিড ব্যাটারিকে। এই ব্যাটারি উৎপাদনের জন্য বিশ্বের ৮৫ শতাংশ সিসা ব্যবহৃত হয়। বিদ্যুৎ সংরক্ষণ, টেলিকমিউনিকেশন ও ইলেকট্রিক গাড়িতে এই ব্যাটারিগুলো ব্যবহার করা হয়। বিশ্বজুড়ে ব্যাটারি থেকে ৯৫ শতাংশ সিসা নিঃসরিত হয়। নিউইয়র্ক টাইমস এর খবরে বলা হয়, দরিদ্র ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোর জন্য এটি বেশ বড় বিপদ। কারণ, সেখানে শিল্পোৎপাদনের ক্ষেত্রে কর্মীদের ও সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার বিষয়টি উপেক্ষিত থেকে যায়। গবেষণায় আরও উল্লেখ করা হয়, প্রতিবছর প্রায় ১০ লাখ মানুষ সিসার বিষক্রিয়ায় মারা যাচ্ছে।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© All rights reserved © 2020
Theme Customized By LiveTV