বার্তা বিভাগ :
করোনা ও বন্যায় অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য দলীয় নেতাকর্মীদের আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।
ঈদুল আযহা উপলক্ষে শনিবার রাত সাড়ে ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত গুলশানের বাসা ‘ফিরোজা’য় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাত করেন খালেদা জিয়া।
এ সময় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমদ, জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু উপস্থিত ছিলেন। সাক্ষাৎ শেষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বাসার বাইরে অপেক্ষমান সাংবাদিকদের কাছে খালেদা জিয়ার বক্তব্য তুলে ধরেন।
চেয়ারপারসনের সঙ্গে আলোচনা প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, আপনারা জানেন, ইতোমধ্যে আমাদের দলের অনেক নিবেদিত প্রাণ নেতাকর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। তাদের সম্পর্কে কথা হয়েছে, তাদের পরিবার পরিজনদের নিয়ে কথা হয়েছে। এর মধ্যে অনেকের ছেলে-মেয়ের বিয়ে হয়েছে, অনেকে চলে গেছেন। সব কিছু মিলিয়ে বলা যেতে পারে সুখ-দুঃখের আলাপ হয়েছে।
‘দেশে করোনা সংক্রমণের বর্তমান অবস্থা, বন্যার অবস্থা, অর্থনীতির যে পরিণতি হতে যাচ্ছে, এসব নিয়ে বিষদভাবে আলোচনা হয়েছে। বিশেষ করে খেটে খাওয়া মানুষ, তাদের যে নিদারুণ কষ্ট চলছে, আর কিছুদিন পরে পরিস্থিতি কী দাঁড়াবে সেসব নিয়ে কথা হয়েছে। আলোচনার বেশিরভাগ সময়ই করোনা পরবর্তী পরিস্থিতি ও বন্যা পরবর্তী অবস্থা কী হবে এসব নিয়ে কথা হয়েছে। যেহেতু শোনা যাচ্ছে এবারের বন্যা লং টার্ম থাকবে। তাহলে দেশের বন্যা কবলিত মানুষ কীভাবে পুনর্বাসিত হবে, কৃষকেরা কীভাবে থাকবে, সেসব নিয়ে আলোচনা হয়েছে। দল যাতে সঠিকভাবে চলতে পারে তা নিয়েও দলের চেয়ারপারসনের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। তিনি দলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে বলেছেন। ’
দলীয় প্রধানের বরাত দিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, করোনা এবং বন্যা ও বন্যা পরবর্তী সময়ে ত্রাণ ও পুনর্বাসনের ক্ষেত্রে যতটুকু সম্ভব সহায়তা নিয়ে নেতা-কর্মীদের দুর্গত মানুষদের পাশে দাঁড়াতে বলেছেন চেয়ারপারসন।
এ সময় খালেদা জিয়ার অসুস্থতার কথা তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, ম্যাডাম এতোই অসুস্থ যে, নিজে বাসার নিচে নামতে পারেন না, হাঁটতে পারেন না। তাঁর এখনো খাওয়া-দাওয়ায় সমস্যা হচ্ছে। আসলে তাঁর যে ধরণের উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন, সেটা হচ্ছে না। এখন যে পরিস্থিতি তাতে হাসপাতালেও যাওয়া যাচ্ছে না। সব মিলিয়ে তাঁর শারীরিক অবস্থা ভালো না।
সরকারের নির্বাহী আদেশে কারাগার থেকে খালেদা জিয়ার মুক্তির ৬ মাসের সময়সীমা প্রায় ঘনিয়ে এসেছে, এ পরিস্থিতিতে পরবর্তী কর্মকাণ্ড সম্পর্কে জানতে চাইলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এই বিষয়টা নিয়ে এখনও বিস্তারিত কোনো আলোচনা হয়নি। সময় আসলে আলোচনা হবে।
গত ২৫ মার্চ সরকারের নির্বাহী আদেশে ৬ মাসের সাজা স্থগিত করে মুক্তি দেওয়া হয় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে। এরপর গত ২৫ মে প্রথমবারের মতো ঈদুল ফিতরের দিন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন খালেদা জিয়া।