1. [email protected] : Administrator :
  2. [email protected] : mukulislam :
  3. [email protected] : newsman :
  4. [email protected] : Osman Goni : Osman Goni
  5. [email protected] : Yousuf :
৩৩ জেলায় পানিবাহিত রোগে মৃত্যু ১৯৮ - SHAPLA TELEVISION
August 11, 2025, 7:49 am

৩৩ জেলায় পানিবাহিত রোগে মৃত্যু ১৯৮

Reporter Name
  • Update Time : মঙ্গলবার, আগস্ট ১১, ২০২০
  • 386 Time View

বার্তা বিভাগ :
বন্যার কারণে পানিবাহিত রোগে ১৯৮ জনের মৃত্যু হয়েছে বাংলাদেশে।
জানা গেছে, দেশের ৩৩ জেলার ২৬৯ উপজেলার মধ্যে দুর্গত ১৬৩টি উপজেলার এক হাজার ৭৮টি ইউনিয়নের ৫৫ লাখ মানুষ বন্যাজনিত কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। চলতি মৌসুমে দুই দফা বন্যার শিকার দেশের উত্তর, উত্তর-পূর্ব ও মধ্যাঞ্চলের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়।
প্রকৃতিক দুর্যোগ ও বন্যার কারণে দেশের বিভিন্ন এলাকায় পানি কমে আসার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।
চলতি বছরের ৩০ জুন থেকে ১১ আগস্ট পর্যন্ত ৩৩ জেলার বিভিন্ন এলাকায় ডায়রিয়া, আরটিআই, চর্মরোগ, চোখের প্রদাহ, সাপে কাটা, পানিতে ডুবে, বন্যাজনিত কারণে যেকোনো আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে ও শ্বাসনালীর প্রদাহসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৮ হাজার ৬০১ জন। এছাড়া পানিতে ডুবে, ডায়রিয়ায়, সাপের কামড়ে ও বজ্রপাতে ১৯৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সহকারী পরিচালক ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তেরর মুখপাত্র ডা. আয়শা আক্তার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের তথ্য অনুসারে, দেশের উত্তর, উত্তর-পূর্ব ও মধ্যাঞ্চলের ৩৩ জেলার নিম্নাঞ্চলে প্রায় ৫৫ লাখ মানুষ এখনো পানিবন্দি আছেন। বন্যাকবলিত জেলাগুলোর মধ্যে ডায়রিয়া, আরটিআই, চর্মরোগ, চোখের প্রদাহ, সাপে কাটা, পানিতে ডুবে, বন্যাজনিত কারণে যেকোনো আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে ও শ্বাসনালীর প্রদাহসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়েছেন মাদারীপুরে সবচেয়ে বেশি ১৫ হাজার ৪১৫ জন। এছাড়া টাঙ্গাইলে পাঁচ হাজার ৪৭ জন, নেত্রকোনার এক হাজার ৮২৩ জন, সিরাজগঞ্জের এক হাজার ৭৫৩জন, ঢাকায় এক হাজার ৬২৪ জন, নেত্রকোনায় এক হাজার ৪৪৮ জন ও কুড়িগ্রামে এক হাজার ২৫৮ জন, মানিকগঞ্জে এক হাজার ২০৬ জন রয়েছেন।
বন্যাকবলিত ৩৩ জেলার মধ্যে জামালপুর ও টাঙ্গাইল জেলায় সবচেয়ে বেশি ৩১ জন করে ৬২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরপরে কুড়িগ্রামে ২৩ জন, মানিকগঞ্জে ১৯ জন, লালমনিরহাটে ১৭ জন। সিরাজগঞ্জ ও গাইবান্ধায় ১৫ জন করে ৩০ জন রয়েছেন। এছাড়া সুনামগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ ও ঢাকায় সাত জন করে ২১ জন। নেত্রকোনায় ছয় জন, মুন্সিগঞ্জে চারজন রয়েছে। রংপুর ও শরীয়তপুরে তিনজন করে ছয় জন রয়েছে। নীলফামারী, রাজবাড়ী, নওগাঁ, মৌলভীবাজার ও গাজীপুর জেলায় দুইজন করে ১০ জন রয়েছেন।
অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, বন্যা দুর্গত এলাকায় বিভিন্ন রোগে আক্রান্তদের মধ্যে। ১৩ হাজার ৫৭০ জন ডায়রিয়া রোগী। এছাড়া আরটিআইএ চার হাজার ২২৫ জন, চর্মরোগে আট হাজার ২১৭ জন, বাকিরা অন্যান্য রোগে আক্রান্ত হয়েছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সহকারী পরিচালক আয়শা আক্তার স্বাক্ষরিত প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৩৩ জেলার বন্যা দুর্গত এলাকাগুলোতে সাধারণ মানুষদের আশ্রয়ের জন্য আশ্রয়কেন্দ্র রয়েছে এক হাজার ৫৬৭টি। এসব এলাকায় দুর্গত মানুষের চিকিৎসার জন্য দুই হাজার ৭৮৫টি মেডিক্যাল টিম কাজ করছে। এছাড়া সিভিল সার্জন, স্থানীয় প্রশাসন, জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে সবসময় তদারকি করছেন। সরকারের সব মন্ত্রণালয় সমন্বিত ভাবে বন্যা পরিস্থতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করে যাচ্ছে। বন্যা দুর্গত এলাকায় বিশুদ্ধ পানি প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে পর্যাপ্ত বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট ও অন্যান্য ওষুধ বিতরণ করা হচ্ছে। তাছাড়া আক্রান্তদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া হচ্ছে।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© All rights reserved © 2020
Theme Customized By LiveTV