ক্রীড়া ডেস্ক :
ঘরোয়া কোনো টুর্নামেন্টে দেশের বাইরে আয়োজন মানেই স্বাভাবিকভাবে বাড়তি ঝক্কি-ঝামেলা। কিন্তু টুর্নামেন্টটি এবার আরব আমিরাতে হওয়ায় সুবিধা হবে বলে মনে করেন বিসিসিআইয়ের দুর্নীতি বিরোধী দলের প্রধান অজিত সিং। কারণ মাত্র তিনটি ভেন্যুতে ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হওয়ায় প্রতিটি দল ও খেলোয়াড়দের গতিবিধির ওপর নজর রাখতে পারবেন তাঁরা। আট দলের ৬০টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই, শারজাহ ও আবুধাবিতে।
আগামী সেপ্টেম্বরের ১৯ তারিখ থেকে আরব আমিরাতে শুরু হবে আইপিএল। ৫১ দিনের লম্বা এই টুর্নামেন্টের ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে নভেম্বরের ৮ তারিখ। এর মধ্যেই আইপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোকে এই ব্যাপারে জানিয়ে দিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)।
আইপিএলের সূচনা লগ্ন থেকেই আকারে ইংগিতে স্পট ফিক্সিং ও ম্যাচ পাতানোর ইঙ্গিত মিলছিলো। ফ্র্যাঞ্চাইজি এই টুর্নামেন্ট জুয়াড়িদের জন্য দুর্নীতির মোক্ষম জায়গা। অনেক খেলোয়াড় ও দলের নামের পাশে লেগেছে ম্যাচ পাতানোর কলঙ্ক। ভেন্যু কম হওয়ায় এবার জুয়াড়িদের দাপট কমবে জানিয়ে বিসিসিআইয়ের দুর্নীতি বিরোধী প্রধান অজিত বলেন, ‘সংযুক্ত আরব আমিরাতে কাজ (দুর্নীতি বিরোধী কার্যক্রম) করা কিছুটা সহজ হবে। কারণ ভারতের আটটি ভেন্যুর তুলনায় সেখানে মাত্র তিনটি ভেন্যু। এটি কোনো আলোচনার বিষয় নয়। চূড়ান্ত সূচী প্রকাশের পর আমরা আমাদের সিদ্ধান্ত নেব।’
আইপিএল এবারই প্রথম আরব আমিরাতে হচ্ছে না। ২০১৪ সালে ভারতের জাতীয় নির্বাচনের সময়েও মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিতে গড়িয়েছিল টুর্নামেন্টটি। এবারও বাধ্য হয়ে আরব আমিরাতে এসেছে আইপিএল। আর সেটা পর্যবেক্ষণ করতে যাওয়া দুর্নীতি বিরোধী দলে আছেন আটজন বেতনভুক্ত অফিসার।
অজিত আরও বলেন, যেহেতু আইসিসির সদর দপ্তর দুবাইয়ে। সে ক্ষেত্রে প্রয়োজন হলেও সহযোগিতা নেওয়া যাবে তাদের। এটি ব্যাক্তি মালিকানা পর্যায়ের লিগ হলেও প্রয়োজনে আইসিসির কাছে দুর্নীতি বিরোধী অফিসার চাওয়া হবে। তারা সম্মত হলে এর ব্যয় বহন করবে আয়োজকেরা।