বার্তা বিভাগ :
আজ রোববার ১৪৪২ হিজরী সনের প্রথম মাস মহররমের ১০ তারিখ। এই দিনটিকে বলা হয় পবিত্র আশুরা। বাংলাদেশসহ সমগ্র বিশ্বের মুসলিম উম্মাহ পবিত্র আশুরাকে বিশেষ তাৎপর্য ও গুরুত্ব দিয়ে প্রতিবছর পালন করে থাকে।
পবিত্র কোরআনুল করিম ও হাদিস মতে পৃথিবীর সৃষ্টি, প্রথম মানব আদমকে (আ.) সৃষ্টি এবং পৃথিবীর শেষদিন কেয়ামতের সাথে জড়িয়ে থাকা এই আশুরায় অন্তত ১০ জন নবীর জীবনের উল্লেখযোগ্য ঘটনার সাক্ষীও পবিত্র আশুরা। সর্বশেষ ইসলামী ইতিহাসে ঘটে যাওয়া মর্মবিদারী কারবালার ঘটনাও সংগঠিত হয়েছিলো এই দিনে। ইয়াজিদ বাহিনীর সৈনিক পাষন্ড সিমারের হাতে কারবালা প্রান্তরে শহীদ হয়েছিলেন মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর প্রিয় নাতি, ইসলামের সত্য পতাকার ঝান্ডাবাহী এবং জান্নাতে যুবকদের সর্দার ইমাম হোসাইন (রা.)। প্রতারণার করুণ শিকার হয়ে নিহত হয়েছিলেন ইমাম পরিবারের আরও অনেক সদস্য। সবকিছু মিলিয়ে মুসলমানদের পরম আবেগের একটি দিন পবিত্র আশুরা।
পবিত্র আশুরা উপলক্ষ্যে সমগ্র বিশ্বে রোজা পালন, মহান আল্লাহর জিকির-আসকার, আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনাসহ ইবাদত বন্দেগীর মাধ্যমে অতিবাহিত করেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। আশুরার দিনটিকে অন্যান্য ধর্মাবলম্বীরাও গুরুত্বের সাথে পালন করে থাকে।
কেননা এই মহান দিনটিতে হযরত আদমকে (আ.) মহান আল্লাহ তাঁর প্রতিনিধি হিসেবে পথিবীতে প্রেরণ করেছিলেন। এছাড়া এই দিনে হযরত মুসাকে (আ.) ফেরাউনের হাত থেকে রক্ষার পাশাপাশি সদলবলে ফেরাউনকে নীলনদে ডুবিয়ে ধ্বংস করেন মহান আল্লাহ। তাই এদিনটিকে ইয়াহুদিরা ঈদের দিন হিসেবে পালন করে থাকে। এইদিনে হযরত নূহ (আ.) এর কিস্তি মহাপ্লাবণ থেকে রক্ষা পায়। এদিনে হযরত ইব্রাহিম (আ.) নমরূদের অগ্নিকূপ থেকে মুক্ত হন। দূরারোগ্য ব্যাধি থেকে এই দিনে আরোগ্য লাভ করেন হযরত আইয়ূব (আ.)। আর আশুরার দিনেই হযরত ঈসাকে (আ.) উর্ধ্বাকাশে তুলে নেন মহান রাব্বুল আলামিন।
বাংলাদেশেও দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদার মধ্য দিয়ে প্রতিবছর পালিত হয়। পবিত্র আশুরার দিনটিকে বাংলাদেশে সাধারণ ছুটি হিসেবে পালন করা হয়।