ওয়েস্ট ইন্ডিজকে তাদের মাটিতে টি-টোয়েন্টিতে হোয়াইটওয়াশ করে আসা বাংলাদেশ আজ একসঙ্গে অনেকের র্যাঙ্কিংয়েই উন্নতির খবর পেল। সিরিজে এমন দাপুটে পারফরম্যান্সের পেছনে বাংলাদেশের বোলারদেরই অবদান বেশি ছিল, স্বাভাবিকভাবেই তাই বোলারদের উন্নতিটাই বেশি সামনে আসছে। ব্যাটসম্যানদের মধ্যে জাকের আলীর উন্নতির গ্রাফটা ধরা পড়েছে র্যাঙ্কিংয়ে।
উন্নতিটাও একেবারে ছোটখাটো নয়! শেখ মেহেদি হাসান, তাসকিন আহমেদ, রিশাদ হোসেন ও হাসান মাহমুদ – সবাই নিজেদের ক্যারিয়ারের সেরা রেটিং পয়েন্ট পেয়েছেন। ব্যাটসম্যানদের মধ্যে জাকের আলী বড় লাফ দিয়েছেন, অলরাউন্ডার র্যাঙ্কিংয়ে মেহেদি হাসান মিরাজও এগিয়েছেন! শেখ মেহেদি তো বোলারদের টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ের সেরা দশেই জায়গা করে নিয়েছেন!
উইন্ডিজের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে ৩ ম্যাচে ৮ উইকেট শেখ মেহেদির, কোনো ম্যাচেই তাঁর ৪ ওভারে ২০-এর বেশি রান নিতে পারেননি উইন্ডিজ ব্যাটসম্যানরা। এমন বোলিংয়ের পর উন্নতি তো হবেই – শেখ মেহেদি ১৩ ধাপ এগিয়ে উঠে এসেছেন ১০ নম্বরে।
তাঁর ঠিক পরেই আছেন তাসকিন আহমেদ। উইন্ডিজের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে ৭ উইকেট নিয়েছেন তাসকিন।
২১ ধাপ এগিয়ে র্যাঙ্কিংয়ের ১৭ নম্বরে উঠে এসেছেন লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন। শুধু এই সিরিজ কেন, এই বছরটাই তো অসাধারণ কেটেছে রিশাদের। এ বছরে তাঁর ৩৫ উইকেট টি-টোয়েন্টিতে এক বছরে কোনো বাংলাদেশির সর্বোচ্চ। এই ৩৫ উইকেটের ৬টি তিনি নিয়েছেন উইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের তিন ম্যাচে।
তাসকিনের পাশাপাশি অন্য দুই পেসার তানজিম হাসান সাকিব ও হাসান মাহমুদও বড় লাফ দিয়েছেন। হাসান ২৩ ধাপ এগিয়ে উঠে এসেছেন ২৪ নম্বরে, সাকিব ৪৫ নম্বরে উঠে আসার পথে এগিয়েছেন ১৬ ধাপ।
এ তো গেল বোলারদের হিসাব, ব্যাটিংয়ে জাকের আলী অনিকের লাফটাও ‘লং জাম্পে’র ক্যাটাগরিতে পড়ার মতো! ৮৫ ধাপ এগিয়েছেন তিনি, বর্তমান র্যাঙ্কিং ৮৭। ব্যাটসম্যানদের সেরা ত্রিশে অবশ্য বাংলাদেশের কেউ নেই। অন্যদিকে অলরাউন্ডারদের র্যাঙ্কিংয়ে মিরাজ ১০ ধাপ এগিয়ে উঠে এসেছেন ৩০ নম্বরে।
বাংলাদেশের বাইরে হিসেব করতে গেলে টেস্টে বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ে যশপ্রীত বুমরার কথা বলতে হয়। র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষেই ছিলেন, এখনো তা-ই আছেন। তবে রেটিং পয়েন্টে একটা রেকর্ড গড়েছেন ভারতীয় পেসার। তাঁর বর্তমান রেটিং পয়েন্ট ৯০৪ – যা ভারতের ইতিহাসেই কোনো বোলারের সর্বোচ্চ!