জুনের শেষভাগ থেকে টানা ৯ দিন দেশে করোনা সংক্রমণের ভয়াবহতা দেখা যাচ্ছে। আজ সোমবার সর্বোচ্চ মৃৃত্যুর দিনে সনাক্তেরও নতুন রেকর্ড দেখলো দেশবাসী।
করোনা সংক্রমণের ব্যাপকতা বাড়ছে প্রতিদিনই। প্রতিদিনই মৃত্যু ও আক্রান্ত ছাড়িয়ে যাচ্ছে আগের রেকর্ড। সর্বশেষ আজ সোমবার (৫ জুলাই) আগের ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা ও উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন ১৬৪ জন। যা এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ। আগের দিনও তার আগের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গিয়েছিলো। এ নিয়ে টানা ৯ দিন ধরে করোনা জটিলতায় শতাধিক মৃত্যু দেখছে দেশের মানুষ। করোনায় এপর্যন্ত মারা গেছেন ১৫ হাজার ২২৯ জন। অপরদিকে সোমবার সর্বোচ্চ মৃত্যুর দিনে সর্বোচ্চ ৯ হাজার ৯৯৪ জন আক্রান্তও হয়েছেন এই ভাইরাসে।
সোমবার স্বাস্থ্য অধিদফতর এক বিজ্ঞপ্তিতে এসকল তথ্য জানায়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৪ হাজার ২টি নমুনা পরীক্ষা করে দেশের ইতিহাসে রেকর্ড ৯ হাজার ৯৯৪ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস সনাক্ত হয়েছে। পরীক্ষা বিবেচনায় সনাক্তের হার ২৯ দশমিক ৩০ শতাংশ। এ নিয়ে দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ লাখ ৫৪ হাজার ৮৮১ জনে। মোট সনাক্তের হার ১৪ দশমিক ১৩ শতাংশ। এদিকে একদিনে নতুন করে সুস্থ হয়েছেন ৫ হাজার ১৮৫ জন। এ নিয়ে সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর সংখ্যা ৮ লাখ ৩৯ হাজার ৮২ জন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মারা যাওয়া ১৬৪ জনের মধ্যে ষাটোর্ধ ৮৩ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৪৭ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ১৮জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ১২ জন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ৪ জন রয়েছেন। মৃতদের মধ্যে পুরুষ ১০৯ জন ও মহিলা ৫৫ জন। যাদের মধ্যে বাসায় ১৫ জন এবং ১৪৯ জনই মারা গেছেন হাসপাতালে। বিভাগওয়ারী পরিসংখ্যান অনুযায়ী ১৬৪ জনের মধ্যে খুলনা বিভাগে সর্বোচ্চ ৫৫ জন, ঢাকায় ৪০ জন, রাজশাহীতে ১৬ জন, রংপুরে ১৬ জন, চট্টগ্রামে ১৮ জন, ময়মনসিংহে ২ জন, সিলেটে ৮ জন ও বরিশালে ৯ জন মারা গেছেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে চীনে করোনা সংক্রমণ শুরু হলেও বাংলাদেশে প্রথম ৩ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয় ২০২০ সালের ৮ মার্চ। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। ১৮ মার্চ থেকেই বন্ধ হয়ে আছে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। আর দেশে চলছে থেমে থেমে লকডাউন-শাটডাউনের ঘটনা।