করোনা সংক্রমণ শুরুর পর গত দুই বছরের মধ্যে ১ জুলাই বৃহস্পতিবার একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু দেখলো বাংলাদেশ। করোনা সংক্রমণ ও উপসর্গ নিয়ে এদিন সারাদেশে ১৪৩ জনের মৃত্যুর কথা জানিয়েছে স্বাস্থ্যবিভাগ। এর মাত্র ৩দিন আগে সর্বোচ্চ ১১৯ জনের মৃত্যু হয়েছিলো ২৭ জুন।
১ জুলাই বৃৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এযাবতকালের সর্বোচ্চ মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ১ জুলাই বৃৃহস্পতিবার আগের ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে দেশে ১৪৩ জনের মৃৃত্যু রেকর্ড করা হয়েছে। এর মধ্যে এক শিশুও রয়েছে। এনিয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ৬৪৬ জন।
বৃহস্পতিবার মৃতদের মধ্যে রয়েছেন পুুরুষ ৯০ জন এবং মহিলা ৫৩ জন। এদের মধ্যে ষাটোর্ধ ৭০ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৪২ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ১৮ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ১১ জন, ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে একজন এবং ১০ বছরের নিচে আছে একজন।
বিভাগওয়ারী পরিসংখ্যান অনুযায়ী ১৪৩ জনের মধ্যে খুলনা বিভাগে সর্বোচ্চ ৪৬ জন, ঢাকায় ৩৫ জন, চট্টগ্রামে ১৫ জন, রাজশাহীতে ১৯ জন, সিলেটে ৭ জন, রংপুরে ১০ জন, ময়মনসিংহে ৩ জন ও বরিশালে ৮ জন মারা গেছেন।
১৪৩ জনের মৃৃত্যু রেকর্ডের দিনে করোনায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন আরও ৮ হাজার ৩০১ জন। এনিয়ে দেশে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের সংখ্যা দাঁড়ালো ৯ লাখ ২১ হাজার ৫৫৯ জন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৪ ঘণ্টায় ৩২ হাজার ৯২৪টি নমুনা সংগ্রহ করা হলেও পরীক্ষা করা হয়েছে ৩২ হাজার ৫৫টি। পরীক্ষা অনুযায়ী এদিনে শনাক্তের হার ২৫ দশমিক ৯০ শতাংশ। মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৮৮ শতাংশ। একদিনে নতুন করে সুস্থ হয়েছেন ৪ হাজার ৬৬৩ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ হয়েছেন ৮ লাখ ২০ হাজার ৯১৩ জন।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে চীনে করোনা সংক্রমণ শুরু হলেও বাংলাদেশে প্রথম ৩ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয় ২০২০ সালের ৮ মার্চ। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। ১৮ মার্চ থেকেই বন্ধ হয়ে আছে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। আর দেশে চলছে থেমে থেমে লকডাউন-শাটডাউনের ঘটনা। উল্লেখ্য, করোনা ভাইরাসে এপর্যন্ত বিশ্বে মোট মৃত্যু ও সংক্রমণের দিক থেকে প্রথম স্থানে আছে আমেরিকা।