বার্তা বিভাগ :
উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশের চূড়ান্ত সুপারিশ অর্জনের আনন্দ দেশের সকল থানায় একযোগে উদযাপন করার ঘোষণা দিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ। এ উপলক্ষে আগামী ৭ মার্চ রবিবার বিকেল ৩টা থেকে পালন করা হবে নানান কর্মসূচি।
আজ ৫ মার্চ শুক্রবার বেলা সোয়া ১১টায় রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ অডিটোরিয়ামে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ড. বেনজীর আহমেদ বলেন, দেশের ৬৬০টি থানায় নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে এ অর্জনটি উদযাপন করা হবে।
‘ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠান ও বাংলাদেশ এলডিসি থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণে জাতিসংঘের চূড়ান্ত সুপারিশপ্রাপ্তিতে দেশব্যাপী আনন্দ উদযাপন’ উপলক্ষে আয়োজিত এই সম্মেলনে পুলিশ প্রধান বলেন, গত ২৬ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে স্বীকৃতির জন্য সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছে। মাত্র ৫০ বছরে এ অর্জনের কৃতিত্ব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এবং দেশের সব জনগণের। এ অর্জনটিকে আমরা উদযাপন করবো, কারণ এটি ১৮ কোটি মানুষের অর্জন।
এছাড়া, ৭ মার্চ জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ভাষণ বাঙালি জাতির অন্যতম মাইলফলক। ২০১৭ সালের ৩০ অক্টোবর ইউনেস্কো ৭ মার্চের ভাষণকে ‘ডকুমেন্টারি হেরিটেজ (বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য)’ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। এটি আমাদের জন্য একটি বড় অর্জন।
তিনি বলেন, পুলিশের সঙ্গে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সাধারণ মানুষও স্বাস্থ্যবিধি মেনে উৎসবে অংশ নেবেন।
ওইদিন সকল থানায় বিকেল ৩টায় একযোগে উদযাপন শুরু হবে। নানা আয়োজনের মধ্যে থাকবে আলোচনা সভা, প্রীতিভোজ এবং মিষ্টি বিতরণ।
প্রসঙ্গত, গত ২৬ ফেব্রুয়ারি স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে উত্তরণের সুপারিশপ্রাপ্ত হয় বাংলাদেশ। জাতিসংঘের কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসি (সিডিপি) পাঁচদিনের বৈঠক শেষে এ সুপারিশ করেছে। তবে বাংলাদেশকে এলডিসি থেকে বের হতে ২০২৬ সাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
সাধারণত উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে যেসব দেশ তুলনামূলক দুর্বল, সেসব দেশকে স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ১৯৭১ সালে প্রথম স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা করা হয়। বাংলাদেশ ১৯৭৫ সালে এ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়। সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী পাঁচ বছর পর এলডিসি থেকে বের হয়ে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের কাতারে চলে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।