গত ৮ দিন ধরেই দেশে মৃত্যু সংখ্যা রয়েছে শতকের উপর। রবিবার মৃত্যুসংখ্যা ছাড়িয়েছে আগের সব রেকর্ড। নতুন করে এদিন মারা গেছেন ১৫৩ জন। আর গত ৮ দিনে মারা গেছেন ১ হাজার ১২ জন। দেশে মোট মৃত্যু সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ৬৫ জন।
৪ জুলাই রবিবার স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় সর্বোচ্চ মৃৃত্যু রেকর্ড হয়েছে। এর আগের সর্বোচ্চ রেকর্ড মৃত্যু ১৪৩ জন ছিলো মাত্র ৩ দিন আগে বৃহস্পতিবার। এবার সেই রেকর্ডও ছাড়িয়েছে। অপরদিকে এই ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ৮ হাজার ৬৬১ জন। নমুনা পরীক্ষার তুলনায় একদিনে সনাক্তের হারও বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮ দশমিক ৯৯ ভাগ। এ নিয়ে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৯ লাখ ৪৪ হাজার ৯১৭ জনে।
বিজ্ঞপ্তির তথ্য অনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় ২৯ হাজার ৩১৫ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হলেও পরীক্ষা করা হয়েছে ২৯ হাজার ৮৭৯টি। একদিনে নতুন করে সুস্থ হয়েছেন ৪ হাজার ৬৯৮ জন। সুস্থতার হার ৮৮ দশমিক ২৫ শতাংশ। এ নিয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৮ লাখ ৩৩ হাজার ৮৯৭ জন।
বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, মারা যাওয়া ১৫৩ জনের মধ্যে ষাটোর্ধ ৭০ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৪৫ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ২৪ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ১১ জন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ৩ জন রয়েছে। মৃতদের মধ্যে পুরুষ ৯৬ জন ও মহিলা ৫৭ জন। যাদের মধ্যে বাসায় ৯ জন ছাড়া বাকিরা হাসপাতালে মারা গেছেন। র্এ মধ্যে খুলনা বিভাগে সর্বোচ্চ ৫১ জন, ঢাকায় ৪৬ জন, রাজশাহীতে ১২ জন, রংপুরে ১৫ জন, চট্টগ্রামে ১৫ জন, ময়মনসিংহে ৯ জন, সিলেটে ২ জন, বরিশালে ৩ জন মারা গেছেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে চীনে করোনা সংক্রমণ শুরু হলেও বাংলাদেশে প্রথম ৩ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয় ২০২০ সালের ৮ মার্চ। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। ১৮ মার্চ থেকেই বন্ধ হয়ে আছে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। আর দেশে চলছে থেমে থেমে লকডাউন-শাটডাউনের ঘটনা। উল্লেখ্য, করোনা ভাইরাসে এপর্যন্ত বিশ্বে মোট মৃত্যু ও সংক্রমণের দিক থেকে প্রথম স্থানে আছে আমেরিকা।