1. [email protected] : Administrator :
  2. [email protected] : mukulislam :
  3. [email protected] : newsman :
  4. [email protected] : Osman Goni : Osman Goni
  5. [email protected] : Yousuf :
পরীক্ষা বাতিল : জেএসসি ও এসএসসির ভিত্তিতে এইচএসসি’র ফলাফল - SHAPLA TELEVISION
June 7, 2025, 11:04 pm

পরীক্ষা বাতিল : জেএসসি ও এসএসসির ভিত্তিতে এইচএসসি’র ফলাফল

Reporter Name
  • Update Time : শুক্রবার, অক্টোবর ৯, ২০২০
  • 482 Time View

বার্তা বিভাগ :
করোনা ভাইরাস সংক্রমণ আশঙ্কায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সাধারণ ছুটি, বিভিন্ন পরীক্ষা বাতিলের ধারাবাহিকতায় এবার উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষাও বাতিল করা হয়েছে। পরিবর্তে জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলের গড় ভিত্তিতে নির্ধারিত হবে এইচএসসি ও সমমানের ১৩ লাখ ৬৫ হাজার ৭৮৯ জন পরীক্ষার্থীর ফলাফল।
৭ অক্টোবর বুধবার দুপুরে অনলাইনে এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপুমনি এই সিদ্ধান্ত জানান। শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মাহাবুব হোসেন, কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের সচিব আমিনুল ইসলাম খান, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মু. জিয়ায়ুল হক সহ বিভিন্ন শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যানগণ সংবাদ সম্মেলনে যুক্ত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমাদের কাছে পরীক্ষার্থী এবং সংশ্লিষ্ট সবার জীবনের নিরাপত্তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ ধরণের পরিস্থিতিতে সার্বিক বিবেচনায় আমরা বিভিন্ন অংশীজনের মতামত নিয়ে ২০২০ সালের এইচএসসি পরীক্ষা সরাসরি গ্রহণ না করে একটু ভিন্ন পদ্ধতিতে মূল্যায়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। পরীক্ষা না নিয়ে পরীক্ষার্থীদের মূল্যায়ন শিক্ষা বোর্ডসমূহের জন্য একেবারেই নতুন। তাই কীভাবে মূল্যায়ন করা হলে দেশ-বিদেশে ফলাফল গ্রহণযোগ্যতা পাবে এবং শিক্ষার্থীদের পরবর্তী জীবনে কোনো বিরূপ প্রভাব পড়বে কিনা, এ বিষয়গুলো আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, যারা এইচএসসি পরীক্ষার্থী তারা দুটি পাবলিক পরীক্ষা- জেএসসি এবং এসএসসি পরীক্ষা পার করে এসেছে। সে দুটির ফলাফল গড় অনুযায়ী এইচএসসিতে ফল নির্ধারণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
শিক্ষামন্ত্রী জানান, দেশের ১১টি শিক্ষাবোর্ডে ২০২০ সালের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১৩ লাখ ৬৫ হাজার ৭৮৯ জন। এদের মধ্যে নিয়মিত পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১০ লাখ ৭৯ হাজার ১৭১ জন এবং অনিয়মিত পরীক্ষার্থী দুই লাখ ৬৬ হাজার ৫০১ জন।
অনিয়মিত পরীক্ষার্থীদের মধ্যে নানা রকম ভাগ রয়েছে জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, তাদের মধ্যে এক বিষয়ে যারা অনুত্তীর্ণ হয়েছিলেন তাদের সংখ্যা এক লাখ ৬০ হাজার ৯২৯ জন, দুই বিষয়ে অনুত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৫৪ হাজার ২২৪ জন এবং সব বিষয়ে অনুত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৫১ হাজার ৩৪১ জন। আর নিয়মিত ও অনিয়মিত পরীক্ষার্থীদের বাইরে সংখ্যা তিন হাজার ৩৯০ জন। ফলাফল উন্নয়নের জন্য আবারো পরীক্ষায় অংশগ্রহণে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১৬ হাজার ৭২৭ জন।
৭টি বিষয়ে ১৩টি পত্রে এইচএসসি পরীক্ষা গ্রহণ করতে হয় জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী দীপুমনি বলেন, পরীক্ষা গ্রহণের জন্য কমপক্ষে ৩০-৩২ কর্মদিবসের প্রয়োজন হয়। দুই হাজার ৫৭৮টি পরীক্ষা কেন্দ্রে এ পরীক্ষা নেওয়ার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করেছিলাম। এক্ষেত্রে পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব নয়, সেক্ষেত্রে পরীক্ষা নিতে গেলে আমাদের দ্বিগুণ কেন্দ্র প্রয়োজন পড়বে। বিদ্যমান কেন্দ্রে প্রশ্নপত্র প্যাকেটজাত করে পাঠানো হয়েছিল। আমাদের সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল। প্যাকেট ভেঙে নতুন প্যাকেট করার সুযোগ নেই, কেন্দ্র দ্বিগুণ করতে হলে যে জনবল তাও দ্বিগুণ করতে হবে। বর্তমান সময়ে এসব করা শিক্ষা বোর্ডের পক্ষে অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়বে।
অন্যান্য দেশের পরিস্থিতি জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ভারতেও সেন্ট্রাল বোর্ড অব সেকেন্ডারি বোর্ডের আওতায় উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা কোভিড-১৯ শুরুর আগেই শুরু করেছিল এবং তিনটি পরীক্ষা গ্রহণের পর স্থগিত করা হয়। এছাড়াও হংকং, চীনে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা বাতিল বা স্থগিত করা হয়েছে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমাদের বেশকিছু শিক্ষার্থী এসএসসিতে যে বিভাগে পাস করে তারা আবার এইএসসিতে বিভাগ পরিবর্তন করে। যারা বিভাগ পরিবর্তন করেছে তাদের মূল্যায়নের ক্ষেত্রে আমরা একটা পরামর্শক কমিটি গঠন করছি। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান, সদস্য সচিব ছাড়াও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েট, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের প্রতিনিধি এবং কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানও থাকবেন। তাদের পরামর্শে বিভাগ পরিবর্তনকারীদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
দীপু মনি বলেন, আমরা আশা করছি ডিসেম্বরের মধ্যে চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করতে পারবো। যাতে জানুয়ারি থেকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তির বিষয়গুলো শুরু হতে পারে।
পরীক্ষা না হওয়ায় চাকরিতে প্রবেশে এসব শিক্ষার্থী বৈষম্যের শিকার হবে কিনা- প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, আমরা একাত্তর সালে যে রকম পরিস্থিতিতে ছিলাম, এখনও প্রায় আমাদের জীবনযুদ্ধ চলছে। এবার সমস্যাটা বৈশ্বিক। সারা পৃথিবীতে পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিতে পারেনি। যারা চাকরি দাতা তারাও বিষয়টি বিবেচনায় নিবেন। এরা বিশ্ববিদ্যালয়ে যাবেন, তাদের মেধার ভিত্তিতে চাকরির বিষয়টি নির্ভর করবে। সেক্ষেত্রে হয়তো সমস্যা হওয়ার কথা নয়।
আন্তর্জাতিক মূল্যায়ন ও ভর্তির বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, অবশ্যই সেটি দেখা হবে। সারা বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় কেউ প্রেডিকক্টেড গ্রেড করেছে কেউ আগের পরীক্ষার ফলাফল দেখে মূল্যায়ন করেছে। কাজেই আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে আমাদের শিক্ষার্থীর ভর্তি হওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যার কারণ নেই।
শিক্ষা উপমন্ত্রী বলেন, আমরা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত পদ্ধতিগুলোকে অনুসরণ করতে যাচ্ছি। আমরা যদি এইচএসসি পরীক্ষার জন্য অপেক্ষা করি, তাহলে আন্তর্জাতিক পরীক্ষা আছে এবং আমাদের প্রতিবেশী দেশগুলো একটা মূল্যায়নের ভিত্তিতে পদক্ষেপ নিয়েছে। সেক্ষেত্রে আমাদের পিছিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বৈষম্যের শিকার হওয়ার কারণ নেই।
এদিকে এইচএসসি পরীক্ষা বাতিল এবং মূল্যায়নের ক্ষেত্রে জেএসসি এবং এসএসসি’র ফলাফলকে ভিত্তি ধরার সিদ্ধান্তকে সমালোচনা করছেন কেউ কেউ। তাঁদের মতে, কোনো শিক্ষার্থী আগের দুইটি পরীক্ষায় ভালো না করলেও এইচএসসিতে হয়তো সে ভালো করার প্রস্তুতি নিয়েছিলো। আবার আগের পরীক্ষাগুলোতে ভালো করা অনেক শিক্ষার্থী কলেজে গিয়ে ধারাবাহিকতা হারিয়ে ফেলে। ফলে আগের পরীক্ষার ভিত্তিতে পরের ফলাফল নির্ধারণ যথাযথ সিদ্ধান্ত কিনা তা ভেবে দেখে পরিকল্পনা প্রণয়ন উচিৎ।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© All rights reserved © 2020
Theme Customized By LiveTV