1. [email protected] : Administrator :
  2. [email protected] : mukulislam :
  3. [email protected] : newsman :
  4. [email protected] : Osman Goni : Osman Goni
  5. [email protected] : Yousuf :
বিভীষিকাময় ভয়াল ‘একুশে আগস্ট’ আজ - SHAPLA TELEVISION
June 13, 2025, 11:50 am

বিভীষিকাময় ভয়াল ‘একুশে আগস্ট’ আজ

Reporter Name
  • Update Time : শুক্রবার, আগস্ট ২১, ২০২০
  • 364 Time View

বিভীষিকাময় ভয়াল ‘একুশে আগস্ট’ আজ

বার্তা বিভাগ :
বীভৎস রাজনৈতিক হত্যাযজ্ঞের দিন বিভীষিকাময় ২১ আগস্ট আজ। মৃত্যু-ধ্বংস-রক্তস্রোতের নারকীয় গ্রেনেড হামলার ১৬তম বার্ষিকী। ২০০৪ সালে ৪ দলীয় জোট সরকারের আমলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের ‘সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও দুর্নীতিবিরোধী’ সমাবেশে নারকীয় গ্রেনেড হামলার ঘটনা বাংলাদেশে এক কলঙ্কময় অধ্যায়ের জন্ম দিয়েছিলো।
১৬ বছর আগে এই দিনে মুহুর্মুহু গ্রেনেড বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে ঢাকার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ। মানুষের আর্তনাদ আর ছোটাছুটিতে তৈরি হয় এক বিভীষিকাময় পরিস্থিতির। গোটা দেশ স্তব্ধ হয়ে পড়ে ওই হামলায়। আজ সেই ২১ আগস্ট, নৃশংস হত্যাযজ্ঞের ভয়াল দিন।
২০০৪ সালের এই দিনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনার সমাবেশে অতর্কিতে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। মারা যান আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদক আইভি রহমানসহ ২৪ জন। আহত হন শেখ হাসিনাসহ পাঁচ শতাধিক নেতা-কর্মী। সমাবেশ কাভার করতে আসা সাংবাদিকেরাও আহত হন।
দিবসটি সামনে রেখে বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আওয়ামী লীগ বলেছে, ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা ছিল ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্টের কালরাতের বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডের ধারাবাহিকতা। আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বশূন্য করতে সংগঠনের সভাপতি শেখ হাসিনাসহ দলের প্রথম সারির নেতাদের হত্যার উদ্দেশ্যেই ওই ঘৃণ্য হামলা চালায় ঘাতক চক্র। শুধু গ্রেনেড হামলাই নয়, সেদিন শেখ হাসিনার গাড়ি লক্ষ্য করেও চালানো হয় ছয় রাউন্ড গুলি। অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেলেও তিনি আহত হন, তাঁর শ্রবণশক্তি চিরদিনের মতো ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
২০০৪ সালের পর থেকে আওয়ামী লীগ গ্রেনেড হামলা দিবস হিসেবে দিনটি পালন করে আসছে। মহামারি করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে এবার গ্রেনেড হামলার দিনটি স্মরণে সীমিত পরিসরে বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিবসটি উপলক্ষে বাণী দিয়েছেন। বাণীতে ২১ আগস্টের সব শহীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং আহতদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানানো হয়।
বাণীতে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘এ হামলায় বেঁচে থাকা অনেকে আজও পঙ্গুত্ববরণ করে দুর্বিষহ জীবন যাপন করছেন। ঘাতকচক্রের লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বহীন করে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে রুখে দেওয়া এবং দেশে স্বৈরশাসন ও জঙ্গিবাদ প্রতিষ্ঠা করা। কিন্তু বাংলাদেশের জনগণ তা হতে দেয়নি।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর বাণীতে বলেন, ২১ আগস্ট বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি কলঙ্কময় দিন। ২০০৪ সালের এই দিনে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সরাসরি পৃষ্ঠপোষকতায় ঢাকায় বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগ আয়োজিত সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদবিরোধী সমাবেশে বর্বরতম গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। মহান আল্লাহ তাআলার অশেষ রহমত ও জনগণের দোয়ায় তিনি অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান। আওয়ামী লীগের নিবেদিতপ্রাণ নেতা-কর্মীরা মানববর্ম তৈরি করে তাঁকে রক্ষা করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তৎকালীন বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার হামলাকারীদের বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দেয়। গুরুত্বপূর্ণ সব আলামত ধ্বংস করে। কিন্তু সত্য কখনো চাপা থাকেনি। পরবর্তীকালে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তে বেরিয়ে আসে বিএনপি-জামায়াত জোটের অনেক কুশীলব এ হামলার সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিল। ২০১৮ সালের অক্টোবরে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার রায় হয়। এর মধ্য দিয়ে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা পেয়েছে, জাতি কলঙ্কমুক্ত হয়েছে। আইনি বিধিবিধান ও প্রক্রিয়া অনুসরণ করে যত দ্রুত সম্ভব এই রায় কার্যকর করা হবে বলে আশা প্রকাশ করে তিনি।
গ্রেনেড হামলায় নিহতদের স্মরণে আজ শুক্রবার সকাল নয়টায় ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে নির্মিত বেদিতে পুষ্পার্ঘ্য নিবেদন করা হবে। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের নেতারা, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক এবং সহযোগী সংগঠনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিধি মেনে উপস্থিত থাকবেন।
গ্রেনেড হামলার প্রতিবাদে ও হতাহতদের স্মরণে সন্ত্রাস এবং জঙ্গিবাদবিরোধী বিভিন্ন কর্মসূচি যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে পালন করতে নেতা-কর্মী, সমর্থক, শুভানুধ্যায়ীদের অনুরোধ জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© All rights reserved © 2020
Theme Customized By LiveTV