বার্তা বিভাগ :
বাংলাদেশে প্রতিদিন করোনা ভাইরাসের সংক্রমন ঘটলেও মানুষের মধ্যে সচেতনতা যেমন কমছে, তেমনি বাড়ছে স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে অবহেলা। তাই আবারও এব্যাপারে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। আর এবার সুনির্দিষ্ট করে হাটবাজার, গণপরিবহনসহ ১১টি ক্ষেত্রে মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করে নির্দেশনা জারি করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ।
মঙ্গলবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব ডা. মো. শিব্বির আহমেদ ওসমানী স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে সবার মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করে এই আদেশ জারি হয়েছে। এতে কারা কারা বিষয়টি নিশ্চিত করবেন, সেটিও বলে দেওয়া হয়েছে।
যে সকল ক্ষেত্রে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে, সেগুলো হলো –
১. সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি অফিসে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং সেবাগ্রহীতাদের বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। সংশ্লিষ্ট অফিস কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিশ্চিত করবে।
২. সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালসহ সকল স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রে আসা সেবাগ্রহীতাদের আবশ্যিকভাবে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিশ্চিত করবে।
৩. শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ, মন্দির ও গির্জাসহ সকল ধর্মীয় উপাসনালয়ে মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। স্থানীয় প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট পরিচালনা কমিটি বিষয়টি নিশ্চিত করবে।
৪. শপিংমল, বিপণি বিতান ও দোকানের ক্রেতা-বিক্রেতাদের মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ও মার্কেট ব্যবস্থাপনা কমিটি বিষয়টি নিশ্চিত করবে।
৫. হাট-বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতাদের মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। মাস্ক ছাড়া কেউ পণ্য কেনা-বেচা করবেন না। স্থানীয় প্রশাসন ও হাট-বাজার কমিটি বিষয়টি নিশ্চিত করবে।
৬. সড়ক, নৌ, রেল ও আকাশপথে সব ধরণের গণপরিবহনে চালক, চালকের সহকারী, এবং যাত্রীদের মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। গণপরিবহনে চড়ার আগেই যাত্রীদের মাস্ক পরতে হবে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং মালিক সমিতি বিষয়টি নিশ্চিত করবে।
৭. পোশাক কারখানাসহ সকল শিল্প কারখানায় কর্মরত শ্রমিকদের মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃকপক্ষ ও মালিকরা বিষয়টি নিশ্চিত করবেন।
৮. হকার, রিকশা ও ভ্যানচালকসহ সকল পথচারীকে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। বিষয়টি আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিশ্চিত করবে।
৯. হোটেল ও রেস্তোরাঁয় কর্মরত ব্যক্তি এবং জনসমাবেশ চলাকালে আবশ্যিকভাবে মাস্ক পরতে হবে। বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট মালিক সমিতি নিশ্চিত করবে।
১০. সব ধরণের সামাজিক অনুষ্ঠানে আসা ব্যক্তিদের মাস্ক পরা নিশ্চিত করতে হবে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান প্রধান নিশ্চিত করবেন।
১১. বাড়িতে কারও করোনাভাইরাসের উপসর্গ থাকলে পরিবারের সুস্থ সবার মাস্ক ব্যবহার করতে হবে।
বাংলাদেশে বসবাসরত সবার জন্যই এ নির্দেশনা প্রযোজ্য হবে বলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে।
মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন জারি
বার্তা বিভাগ :
বাংলাদেশে প্রতিদিন করোনা ভাইরাসের সংক্রমন ঘটলেও মানুষের মধ্যে সচেতনতা যেমন কমছে, তেমনি বাড়ছে স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে অবহেলা। তাই আবারও এব্যাপারে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। আর এবার সুনির্দিষ্ট করে হাটবাজার, গণপরিবহনসহ ১১টি ক্ষেত্রে মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করে নির্দেশনা জারি করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ।
মঙ্গলবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব ডা. মো. শিব্বির আহমেদ ওসমানী স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে সবার মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করে এই আদেশ জারি হয়েছে। এতে কারা কারা বিষয়টি নিশ্চিত করবেন, সেটিও বলে দেওয়া হয়েছে।
যে সকল ক্ষেত্রে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে, সেগুলো হলো –
১. সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি অফিসে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং সেবাগ্রহীতাদের বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। সংশ্লিষ্ট অফিস কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিশ্চিত করবে।
২. সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালসহ সকল স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রে আসা সেবাগ্রহীতাদের আবশ্যিকভাবে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিশ্চিত করবে।
৩. শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ, মন্দির ও গির্জাসহ সকল ধর্মীয় উপাসনালয়ে মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। স্থানীয় প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট পরিচালনা কমিটি বিষয়টি নিশ্চিত করবে।
৪. শপিংমল, বিপণি বিতান ও দোকানের ক্রেতা-বিক্রেতাদের মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ও মার্কেট ব্যবস্থাপনা কমিটি বিষয়টি নিশ্চিত করবে।
৫. হাট-বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতাদের মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। মাস্ক ছাড়া কেউ পণ্য কেনা-বেচা করবেন না। স্থানীয় প্রশাসন ও হাট-বাজার কমিটি বিষয়টি নিশ্চিত করবে।
৬. সড়ক, নৌ, রেল ও আকাশপথে সব ধরণের গণপরিবহনে চালক, চালকের সহকারী, এবং যাত্রীদের মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। গণপরিবহনে চড়ার আগেই যাত্রীদের মাস্ক পরতে হবে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং মালিক সমিতি বিষয়টি নিশ্চিত করবে।
৭. পোশাক কারখানাসহ সকল শিল্প কারখানায় কর্মরত শ্রমিকদের মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃকপক্ষ ও মালিকরা বিষয়টি নিশ্চিত করবেন।
৮. হকার, রিকশা ও ভ্যানচালকসহ সকল পথচারীকে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। বিষয়টি আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিশ্চিত করবে।
৯. হোটেল ও রেস্তোরাঁয় কর্মরত ব্যক্তি এবং জনসমাবেশ চলাকালে আবশ্যিকভাবে মাস্ক পরতে হবে। বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট মালিক সমিতি নিশ্চিত করবে।
১০. সব ধরণের সামাজিক অনুষ্ঠানে আসা ব্যক্তিদের মাস্ক পরা নিশ্চিত করতে হবে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান প্রধান নিশ্চিত করবেন।
১১. বাড়িতে কারও করোনাভাইরাসের উপসর্গ থাকলে পরিবারের সুস্থ সবার মাস্ক ব্যবহার করতে হবে।
বাংলাদেশে বসবাসরত সবার জন্যই এ নির্দেশনা প্রযোজ্য হবে বলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে।