রাজধানীর পুরনো ঢাকার আরমানিটোলা এলাকায় ৬ তলা বিশিষ্ট হাজী মুসা ম্যানশনে ভোর রাতে আগুন লাগে। ওই ভবনের নিচতলায় থাকা রাসায়নিক দ্রব্যের গুদামে শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
স্থানীয় ও ভবনের বাসিন্দা সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাত ৩টার দিকে আগুনের সুত্রপাত হয়েছে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের অন্তত ১০টি ইউনিট অগ্নি নির্বাপনে এবং উদ্ধার অভিযানে কাজ শুরু করে। ভোর ৫টা পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি দমকল কর্মীরা। রাসায়নিকের গুদামে আগুন লাগায় নিয়ন্ত্রণে বেগ পেতে হচ্ছে ফায়ার সার্ভিসকে। বিষাক্ত কালো ধোঁয়ায় পুরো ভবনটি আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। বাসিন্দাদের অনেকে ভয়ে এবং বিষাক্ত ধোঁয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন। বাইরে থেকে ভবনের বারান্দার গ্রিল কেটে উদ্ধার কর্র্মীরা অনেককে ল্যাডার দিয়ে নিচে নামিয়ে আনতে দেখা গেছে। অনেকে অচেতন হয়ে পড়লে তাদেরকে দ্রুত হাসপাতালে পাঠানো হয়। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরাও আহত হয়েছেন।
ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানায়, আগুন লাগার পর পর ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে যায় ভবনের নিচতলা। ধীরে ধীরে ধোঁয়া উঠতে থাকে ওপরের দিকে। আগুনের বিষয়টি টের পেয়ে ওপরে থাকা মানুষজন বের হয়ে আসার চেষ্টা করে। কিন্তু ধোঁয়ার কারণে তারা বের হতে পারেননি। কেউ কেউ ভবনের ওপরের দিকে যেতে চাইলেও ছাদের দরজাটি তালাবন্ধ থাকায় সে চেষ্টাও ব্যাহত হয়। আটকে পড়া বাসিন্দারা বিভিন্ন ফ্লোর থেকে চিৎকার করতে থাকেন। ফায়ার সার্ভিস ভোর পৌনে ৫টা পর্যন্ত বিভিন্ন ফ্লোর থেকে প্রায় ১৫ জনকে উদ্ধার করেছেন। এদের অনেকেই আহত বলে খবর পাওয়া গেছে।
উদ্ধার হওয়া ভবনের এক বাসিন্দা জানান, মাহে রমজানের সেহরী খেতে উঠে প্রথমে ধোঁয়া উঠতে দেখেন এবং ভবনটি উত্তপ্ত হতে থাকে। ধোঁয়ায় অনেকে অসুস্থ হয়ে হতাহতের ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত (ভোর সোয়া ৫টা) অগ্নিকান্ডে ভবনের একজন গার্ড নিহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। উদ্ধার এবং আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে তৎপরতা চালাচ্ছেন ফায়ার সার্ভিস বাহিনী। নিরাপত্তা নিশ্চিতে দায়িত্ব পালন করছেন পুলিশ সদস্যরা।