বার্তা বিভাগ :

ফ্রান্সে ইসলাম বিদ্বেষী মন্তব্যের জেরে সমগ্র বিশ্বে মুসলমানদের প্রতিবাদের মধ্যেই এবার মুখ খুললেন জার্মানীর সাবেক ফুটবলার মেসুত ওজিল। তুর্কী বংশোদ্ভুত এই ফুটবলার বলেন, এই ধর্মে সন্ত্রাসবাদের কোনো স্থান নেই। ইসলাম শান্তির ধর্ম।
শুক্রবার (৩০ অক্টোবর) সামাজিক যোগযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেয়া এক পোস্টে ওজিল লেখেন, ‘ইসলামে সন্ত্রাসবাদের কোনো স্থান নেই।’ তিনি পবিত্র কোরআনের একটি আয়াত উদৃত করে লিখেছেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো নিরপরাধ মানুষকে হত্যা করল, সে যেন গোটা মানবজাতিকে হত্যা করল। আর যে তাকে বাঁচাল, সে যেন সব মানুষকে বাঁচাল (আল-কোরআন, সুরা মায়েদা, আয়াত-৩২)।
ওজিলের এই পোস্টে এখন পর্যন্ত প্রায় পাঁচ লাখ প্রতিক্রিয়া পড়েছে। কমেন্ট করা হয়েছে প্রায় ২০ হাজার। ২০ হাজারবার শেয়ারও হয়েছে।
এর আগেও মুসলামানদের উপর চালানো নির্যাতনের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন জার্মান জাতীয় দলের বিশ্বকাপ জয়ী ফুটবলার ওজিল।
এর আগে উইঘুর মুসলিমদের ওপর চীনাদের নির্যাতনের বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, মুসলিম ঘর থেকে পুরুষদের সেনাছাউনিতে বন্দী করে রেখে প্রতিটি পরিবারের অন্তত একটি মেয়েকে জোরজবরদস্তি করে বিয়ে দেয়া হচ্ছে একজন কমিউনিস্ট পুরুষের সঙ্গে। প্রতিটি পরিবারেই একজন কমিউনিস্ট এই মিশন বাস্তবায়ন করছে চীন সরকার।
ওজিল আরও উল্লেখ করেন, এই সংকটাপন্ন পরিস্থিতিতে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উম্মত নীরব, তাদের তরফ থেকে কোন আওয়াজ নেই, প্রতিবাদ নেই। উইঘুর মুসলিম ভাইদের প্রতিরক্ষার জন্য কার্যত কোন ভূমিকাই তারা গ্রহণ করছে না। তারা কি জানে না যে, জু’লুম-অত্যাচারে সম্মতি আরেকটি ভিন্ন জুলুম!
আর্সেনাল দলের খেলোয়াড় মেসুত ওজিল দলের বাইরে থাকলেও দাতব্য কাজ ঠিকই চালিয়ে যাচ্ছেন। সর্বশেষ উত্তর লন্ডনের ১১টি স্কুলে প্রতিদিন ১৪’শ সুবিধাবঞ্চিত শিশুর জন্য একবেলার খাবার ব্যবস্থা করেছেন এই ফুটবলার।
এর আগে ১ লাখ গৃহহীন মানুষকে খাদ্য সহায়তা দিয়েছিলেন ওজিল। এছাড়া ১ হাজার শিশুর অস্ত্রোপচারের খরচও বহন করেছিলেন তিনি। এছাড়া গত রমজানে মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকার হাজারো মানুষের মধ্যে ইফতার বিলি করেছিলেন তিনি।