বার্তা বিভাগ :
প্রতিবছরের মতো এবারও যথাযোগ্য ভাবগাম্ভীর্য ও ধর্র্মীয় মর্যাদায় সারাদেশে আজ সোমবার (২৯ মার্চ) রাতে পালিত হচ্ছে পবিত্র লাইলাতুল বারআত; যা শবে বরাত নামে সমধিক পরিচিত। এই দিনকে কেন্দ্র করে মুসলমানগণ রাতভর ইবাদত-বন্দেগীরত থাকবেন। এটিকে আরবী পরিভাষায় লাইলাতুল নিস্ফে মিন শাবা’ন বলা হয়ে থাকে।
মহিমান্বিত এই রাতে ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা মহান আল্লাহর দয়া লাভের আশায় নফল নামাজ, কোরআন তিলাওয়াত, জিকিরে মগ্ন থাকবেন। অতীতের গুনাহের ক্ষমা প্রার্থনা এবং ভবিষ্যৎ জীবনের কল্যাণ কামনা করে মোনাজাত করবেন। পবিত্র লাইলাতুল বারআত মাহে রমজানেরও আগমনী বার্তা দেয়।
পবিত্র লাইলাতুল বারআত উপলক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে বাদ মাগরিব থেকে কোরআন তিলাওয়াত, হামদ-নাত, ওয়াজ মাহফিল, নামাজ, মিলাদ ও বিশেষ মোনাজাত করা হয়। করোনাকালে দেশবাসী ও মুসলিম উম্মাহর মঙ্গল কামনা করা হয় মোনাজাতে।
অনেক আলেমের মতে, হিজরি বর্ষের শাবা’ন মাসের ১৪ তারিখে দিবাগত রাতটি মুসলমানেরা সৌভাগ্যের রজনী হিসেবে পালন করে থাকেন। এই রাতে মহান আল্লাহ তাআলা তাঁর বান্দাদের জন্য অশেষ রহমতের দরজা খুলে দেন। তবে অনেক আলেম এই মতের সাথে দ্বিমত পোষণ করেন।
যদিও দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশসহ বিশ্বের অগণিত ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা মহান আল্লাহর রহমত ও নৈকট্য লাভের আশায় পবিত্র লাইলাতুল বারআতে নফল নামাজ, কোরআন তিলাওয়াত, জিকির, ওয়াজ ও মিলাদ মাহফিলসহ ইবাদত-বন্দেগির মধ্য দিয়ে রাত অতিবাহিত করেন। মহিমান্বিত এ রজনীতে মুসলিম উম্মাহর সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশ্বের মুসলমানেরা বিশেষ মোনাজাত করছেন।
এদিকে পবিত্র লাইলাতুল বারআত উপলক্ষে অনেকেই দিনভর নফল রোজা রেখেছেন। তৈরি করা হয়েছে ভালো খাবার, হালুয়া-রুটি ইত্যাদি। তবে সম্মিলিত আলেম সমাজ এবং প্রশাসনের নিষেধ থাকার পরও দেশের বিভিন্নস্থানে আতশবাজি ও পটকা ফাটিয়ে অনেক কিশোর-তরুণ-যুবককে উল্লাস প্রকাশ করতে দেখা গেঢে। নতুন সংযোজিত এই ব্যাপারটির সাথে ইসলাম ধর্মীয় আচরণের কোনো সম্পর্ক নেই বলে সতর্ক করেছেন ইসলামী স্কলারগণ।
পবিত্র শবে বরাত উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।