বার্তা বিভাগ :
ইলিশ মাছের প্রজনন নিরাপদ করার লক্ষ্যে মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে টানা ২২ দিন সাগর, নদ-নদীতে ইলিশ ধরা বন্ধ থাকবে। তাই অনেক জেলে এরই মধ্যে ফিরে তীরে ফিওে এসেছেন বলে জানিয়েছেন ট্রলার মালিক সমিতির নেতারা।
প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, নিষেধাজ্ঞার এই সময় ইলিশ শিকার, পরিবহন, মজুত, বাজারজাতকরণ ও ক্রয়-বিক্রয় আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। এই নিষেধাজ্ঞাকালীন সরকারের পক্ষ থেকে জেলেদের প্রতিজনকে ২০ কেজি করে সরকারি সহায়তার চাল বরাদ্দ দেওয়া হবে। নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করতে কঠোর নজরদারি থাকবে প্রশাসনের।
জানা গেছে, বরগুনায় ৩৭ হাজার জেলেকে সরকারি খাদ্য সহায়তার আওতায় আনা হয়েছে। এর মধ্যে বরগুনা সদর উপজেলায় ৭ হাজার ৭৭৮, আমতলীতে ৬ হাজার ৭৮৯, তালতলীতে ৬ হাজার ৭৪৬, পাথরঘাটায় ১১ হাজার ৪৩৮, বেতাগীতে ৩ হাজার ১৮২ ও বামনায় ১ হাজার ৬৮ জন।
বরগুনা জেলা ট্রলার মালিক সমিতি সূত্রে জানা গেছে, জেলে অধ্যুষিত পাথরঘাটা, তালতলীসহ বিভিন্ন এলাকার জেলেরা তাঁদের ট্রলার ও নৌকা নিয়ে নিরাপদ স্থানে ফিরেছেন। নিষেধাজ্ঞার এই সময়ে কেউ কেউ নৌকা ও ট্রলার মেরামতেরও উদ্যোগ নিচ্ছেন। তবে দীর্ঘ নিষেধাজ্ঞায় কীভাবে সংসার চালাবেন, তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় জেলেরা। সরকারের পক্ষ থেকে এই সময় ২০ কেজি করে চাল খাদ্য সহায়তা দেওয়া হলেও তা দিয়ে একজন জেলের পরিবার চালানো কষ্টকর।
নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করতে মৎস্য অধিদপ্তর, কোস্টগার্ড, নৌ-পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী প্রস্তুত রয়েছে।