করোনা ভাইরাসে দেশে মৃত্যু হার এখনো বাড়ছে। টানা ৬ দিন মৃতের সংখ্যা রয়েছে শতকের উপরে। আগের দিনের চেয়ে সংখ্যায় কমলেও ২ জুলাই শুক্রবারও দেশে ১৩২ জনের প্রাণহানী ঘটেছে করোনা জটিলতায়।
স্বাস্থ্য অধিদফতর প্রেরিত প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এসকল তথ্য জানা গেছে। সূত্র জানায়, আগের দিন বৃৃহস্পতিবার ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছিলো ১৪৩ জনের। শুক্রবার এ সংখ্যা দাঁড়ায় ১৩২ জনে। বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে এই সংখ্যা উল্লেখ করা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৪ ঘণ্টায় সনাক্তের বিবেচনায় মৃত্যুহার ১ দশমিক ৫৯। বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, মারা যাওয়া ১৩২ জনের মধ্যে ষাটোর্ধ ৬৭ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৩০ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ২০ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ১৪ জন, ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে ১ জন রয়েছেন।
মৃত ১৩২ জনের মধ্যে পুুরুষ ৮১ জন ও মহিলা ৫১ জন। যাদের মধ্যে বাসায় ১৩ জন ছাড়া বাকিরা হাসপাতালে মারা গেছেন। একই সময়ে বিভাগওয়ারী পরিসংখ্যান অনুযায়ী খুলনা বিভাগে সর্বোচ্চ ৩৫ জন, ঢাকায় ৩০ জন, চট্টগ্রাম ও রাজশাহীতে ২৪ জন করে, সিলেটে ২ জন, রংপুরে ৯ জন, ময়মনসিংহে ৬ ও বরিশালে ২ জন মারা গেছেন।
তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, আগের দিনের চেয়ে মৃৃত্যুর সংখ্যা ১১ জন কমলেও এ ভাইরাসে আক্রান্ত এবং সনাক্ত হার দুুটোই বেড়েছে। ২৪ ঘণ্টায় করোনা সনাক্ত হয়েছে আরও ৮ হাজার ৪৮৩ জনের। সনাক্ত হার ২৮ দশমিক ২৭ শতাংশ। আগের দিন বৃহস্পতিবার আক্রান্ত হয়েছিলেন ৮ হাজার ৩০১ জন। সনাক্তের হার ছিলো ২৫ দশমিক ৯০ শতাংশ।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে চীনে করোনা সংক্রমণ শুরু হলেও বাংলাদেশে প্রথম ৩ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয় ২০২০ সালের ৮ মার্চ। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। ১৮ মার্চ থেকেই বন্ধ হয়ে আছে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। আর দেশে চলছে থেমে থেমে লকডাউন-শাটডাউনের ঘটনা। উল্লেখ্য, করোনা ভাইরাসে এপর্যন্ত বিশ্বে মোট মৃত্যু ও সংক্রমণের দিক থেকে প্রথম স্থানে আছে আমেরিকা।