1. [email protected] : Administrator :
  2. [email protected] : mukulislam :
  3. [email protected] : newsman :
  4. [email protected] : Osman Goni : Osman Goni
  5. [email protected] : Yousuf :
বাংলাদেশে আসতে পারে টিসিসি, রোমাঞ্চিত ট্রাম্প! - SHAPLA TELEVISION
June 7, 2025, 11:13 pm

বাংলাদেশে আসতে পারে টিসিসি, রোমাঞ্চিত ট্রাম্প!

Reporter Name
  • Update Time : বৃহস্পতিবার, জানুয়ারি ৩০, ২০২৫
  • 54 Time View

মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার পর থেকেই একের পর এক বোমা ফাটিয়ে চলেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সত্যিকারের বোমা অবশ্য নয়, সবই শব্দবোমা। শপথ নিয়েই অনেকগুলো নির্বাহী আদেশেও সই করেছেন ট্রাম্প। এই জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বাতিল করে দিচ্ছেন, তো অন্যদিকে পুতিন–জেলেনস্কিকে ধমকে দিচ্ছেন। এরই মধ্যে পাওয়া গেল নতুন ও অভিনব এক খবর!

অবিশ্বাস্য ও চূড়ান্ত মাত্রায় বানোয়াট এক সূত্র জানিয়েছে, ‘টিসিসি’ খুলতে পারেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। বাংলাদেশি মাত্রেই টিসিসি’কে আমরা টিসিবি’র সঙ্গে গুলিয়ে ফেলতেই পারি। তবে এটি টিসিবি নয়। তবে হ্যাঁ, পুরো বিষয়টার ভাবনায় কিছুটা সাদৃশ্য আছে। টিসিবি’তে যেমন চাল, ডাল, তেল, চিনি প্রভৃতি কিছুটা সাশ্রয়ী মূল্যে পাওয়া যায়, তেমনি ট্রাম্পের নতুন টিসিসি অনেকটা সাশ্রয়ী মূল্যেই বিলিয়ে দেবে নানা ধরনের প্রশিক্ষণ। উন্নত দেশগুলোতে যে মূল্যের বিনিময়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে, বাংলাদেশের মতো দেশগুলোতে দেওয়া হতে পারে তার চেয়েও বেশি ডিসকাউন্ট!

টিসিসি আসলে কি? গায়েবি সূত্রটি এ বিষয়ে জানিয়েছে যে, ‘টিসিসি’ মানে হলো ‘ট্রাম্প কোচিং সেন্টার’। মূলত বাংলাদেশে এক সময় ‘সিসি’ সংবলিত একটি কোচিং সেন্টারের ব্যাপক জনপ্রিয়তা শুনেই এমন নামকরণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই কোচিং সেন্টারের মধ্য দিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর উপলব্ধ ও অর্জিত জ্ঞান বিশ্ববাসীর মধ্যে ছড়িয়ে দিতে চান। সবাইকে বোঝাতে চান যে, ট্রাম্পের পলিসিই খাঁটি পলিসি। বাকি সব আজাইরা আসলে!

টিসিসি কোন সিলেবাস বা পদ্ধতি অনুসরণ করবে, তা নিয়ে উদ্যোক্তাদের মধ্যে ব্যাপক আলোচনা হয়েছে বলে দুঃস্বপ্নে শোনা গেছে। বিভিন্ন অসমর্থিত সূত্র বলছে, বেশ কয়েকজন এ নিয়ে বিতর্ক করলেও, ট্রাম্প নিজে এ নিয়ে কথা বলা শুরু করা মাত্রই সবাই নাকি চিন্তা–ভাবনা করাও থামিয়ে দেয়। ট্রাম্প এ বিষয়ে নাকি বলেছেন যে, টিসিসি পুরোপুরি নতুন পদ্ধতিতে কাজ করবে। যাদের মাথায় আগে থেকেই কিছু আছে, তাদের কোচিং করাবে না টিসিসি। বরং একেবারে কচি ও খালি মাথাকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। কারণ আগে থেকেই নষ্ট মগজকে ধোলাই করে নতুন বানানো খুব কঠিন। বরং একেবারে খালি হার্ডডিস্ক ভরা সহজ। তবে নষ্ট ও পুরনো মগজও যদি স্বেচ্ছায় ফ্যাক্টরি রিসেট দিতে আগ্রহী হয়, তবে ভিন্ন প্রসঙ্গ। সেক্ষেত্রে বিশেষ বিবেচনা করা হতেও পারে। মোদ্দা কথা, টিসিসি যা শেখাবে, সেসব নিয়ে বিকল্প ভাবনা উপস্থাপন করা যাবে না। বরং সুরে সুর মেলালেই সুযোগ মিলবে। এভাবে গড়ে তোলা হবে টিসিসি’র সিলেবাস।

তাছাড়া টিসিসি’তে কোচিং নিতে গেলে আরও কিছু বৈশিষ্ট্য প্রশিক্ষণার্থীদের থাকতে হবে। যেমন: অনর্গল মুখে যা আসে, তাই বলে ফেলার অভ্যাস থাকলে, সেটিকে বাড়তি যোগ্যতা রূপে বিবেচনা করা হবে। গুণে গুণে মিথ্যা বলার অভ্যাস থাকলে নেওয়া হবে না। বরং এমনভাবে যদি কেউ মিথ্যা বলতে পারে, যাতে গোণা কঠিন হয়ে যায়—সেক্ষেত্রে টিসিসি বাড়তি উৎসাহ দেবে। এমনকি কোর্স ফি উল্লেখযোগ্য হারে কমিয়েও দিতে পারে। আবার প্রশিক্ষণ নিতে আগ্রহী কেউ যদি প্রমাণ করতে পারে যে, কথার খোঁচা দেওয়ার, নানা ধরনের মুখভঙ্গি করার ক্ষেত্রে তাদের পারিবারিক বা ব্যবহারিক সুদীর্ঘ ঐতিহ্য বা সুনাম আগে থেকেই আছে, সেক্ষেত্রেও বাড়তি ডিসকাউন্ট, প্রয়োজনে উল্টো পকেটে কিছু টাকাও দিয়ে দিতে পারে টিসিসি। অর্থাৎ, উপযুক্ত প্রশিক্ষণার্থী পেলেই ঝাঁপিয়ে পড়বে টিসিসি। এক ধরনের ট্যালেন্ট হান্ট প্রোগ্রামও চালানো হতে পারে।

এদিকে টিসিসি সম্পর্কে কিছুই জানে না, এমন একটি পিআর ফার্ম এক অলিখিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে যে, বাংলাদেশে আসতে পারে টিসিসি। ট্রাম্পের সঙ্গে বিন্দুমাত্র সংশ্লিষ্টতা নেই, এমন একটি সূত্রও এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। সূত্রগুলো বলছে, বাংলাদেশে টিসিসি’র শাখা খোলার ব্যাপারে ট্রাম্প অনেক আগ্রহী বলে তারা শুনেছে। সেক্ষেত্রে প্রধান শাখা ঢাকার ফার্মগেটে খুলতে চান ট্রাম্প। এরপর পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন বিভাগীয় শহরে ছড়িয়ে দেওয়া হতে পারে টিসিসি’কে।

কিন্তু বাংলাদেশ নিয়ে কেন এত আগ্রহী ট্রাম্প? কেন এই বঙ্গদেশে টিসিসি আনতে চান তিনি? আসলে কি চান?

বাতাসে ভেসে বেড়ানো কিছু উড়ো খবরে জানা গেছে, বাংলাদেশে ট্রাম্প টিসিসি নিয়ে আসতে চান গুরুদক্ষিণা হিসেবে! কানে–মুখে শোনা গেছে যে, ট্রাম্প যে ধরনের রাজনীতি করেন বা করতে চান, তার মডেল তৈরিতে নাকি বাংলাদেশের ব্যাপক অবদান। অনেক কিছুই নাকি তিনি এ দেশ থেকে শিখতে পেরেছেন, এক ধরনের কোচিং নাকি করেছিলেন! আর তাই সেসব শিক্ষণীয় বিষয়গুলোর আরও উন্নত সংস্করণের সাথে তিনি এ দেশের মানুষের পরিচয় করিয়ে দিতে চান। এবং এ নিয়ে তিনি বেশ রোমাঞ্চিত। এটি নিয়ে ভাবার সময়ই নাকি শিহরণের মুহুর্মুহু স্রোতে তাঁর শরীর সব লোম দাঁড়িয়ে গিয়েছিল। বুঝুন তবে!

যেহেতু ট্রাম্পের মুখ থেকে সরাসরি এসব বিষয়ে জানা যায়নি, তাই ওপরের তথ্যগুলো যে কেউ বানোয়াট ভাবতেই পারেন। মনেই করতে পারেন যে, কল্পনা কেবল। তাতে অবশ্য দোষের কিছু নেই। বরং ওতেই মঙ্গল। ট্রাম্পের টিসিসি শেষ পর্যন্ত তৈরি হয় কিনা এবং ঢাকার ফার্মগেটে এর প্রধান শাখা খোলে কিনা, তাই এখন দেখার!

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© All rights reserved © 2020
Theme Customized By LiveTV