করোনা আতঙ্কের মাঝেই এসেছে বাংলা নববর্ষ ১৪২৮
বার্তা বিভাগ :
করোনার অতি সংক্রমণ ঠেকাতে শুরু হয়েছে কঠোর লকডাউন। ঘরবন্দি আমোদী বাঙালিরা। কিন্তু সময়তো আর থেমে থাকছেনা! তাই সময়ের পরিক্রমায় এসেছে আরেকটি বাংলা বর্ষ। শুরু হয়েছে ১৪২৮ বঙ্গাব্দ। আজ বাংলা নববর্ষের প্রথম দিন; পহেলা বৈশাখ।
আজ বুধবার (১৪ এপ্রিল) ভোরে সূর্যের নতুন আলো ফোটার সাথে সাথে শুরু হয়েছে বাংলা নতুন বছর। করোনা ভাইরাস মহামারির মধ্যেই বাঙালির জীবনে আরো একবার এলো পহেলা বৈশাখ। গত বছরের মতো এবারও বৈশাখ বরণে মেতে ওঠা হবে না। অনেকের মনে বৈশাখের গান গুঞ্জরিত হলেও মেতে ওঠার সুযোগ কেড়ে নিয়েছে অতিমারি করোনা ভাইরাস।
করোনা সংক্রমণ আশঙ্কার মধ্যেই জাতির জীবনে এসেছে বাংলা নতুন বছর। স্বাভাবিক সময় হলে নতুন বছরকে স্বাড়ম্বরে স্বাগত জানাতে মানুষ পথে নেমে আসতো। সকালে প্রথম প্রহর থেকে গান. সমাবেশ আর মঙ্গল শোভাযাত্রায় অংশ নিয়ে বরণ করতো নতুন বছরকে। মানুষের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠতো রমনা বটমূল। এবার সেই প্রাঙ্গণ থাকছে জনশূন্য। পুরো দেশের সর্বত্রই বিরাজ করছে একই চিত্র। এমন অনাড়ম্বর পহেলা বৈশাখ স্মরণাতীতকালে আর কখনো আসেনি জাতির জীবনে।
বর্ষবরণ শুরু হওয়ার পর ৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময়কাল ছাড়া নিয়মিতভাবেই রমনার বটমূলে বর্ষ আহ্বানের ডাক দিয়ে অনুষ্ঠান করে এসেছে ছায়ানট। এনিয়ে পরপর দুই বছর তা হচ্ছে না। করোনাকালের পৃথিবীতে এখন চলছে এক অনিশ্চিত সময়।
করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে পহেলা বৈশাখের সমাগম ও আনুষ্ঠানিকতার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার। কঠোর লকডাউন জারি করা হয়েছে। এবার তাই কোনোরকম আনুষ্ঠানিকতা ছাড়াই নতুন বর্ষকে বরণ করে নেওয়া হচ্ছে। তবে সরকারি-বেসরকারি টেলিভিশন ও বেতারে নববর্ষেন বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচার করা হচ্ছে। পত্রিকাগুলো প্রকাশ করেছে বিশেষ সংখ্যা। অনলাইন নিউজ পোর্টালগুলোতেও চলছে নতুন বছরের নানান আয়োজন।
বিশ্ব থেকে করোনা বিদায় নিলে হয়তো আবারও প্রাণের উচ্ছ্বাসে মেতে উঠবে বাঙালিরা। সেই আশাতেই এবারের বর্ষকে বরণ করে নিয়েছে সকলে। নতুন বছর হবে করোনার ভয় থেকে মুক্ত হওয়ার বছর; সেই প্রত্যাশা পুরো জাতির।