আজ পবিত্র মাহে রমজানের ২৬তম রোজা শেষে শুরু হলো ২৭ রমজানের প্রহর। আজকের ইফতারের পর থেকেই শুরু হলো মহিমান্বিত লাইলাতুল কদরের সম্ভাব্য একটি রাত।
সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী আজ ৯ মে রোববার রাতে সারাদেশে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হবে লাইলাতুল কদর; যা শবে কদর নামে সমধিক পরিচিত। সন্ধ্যা থেকেই শুরু হয়েছে এই রাতের মাহাত্ম।
পবিত্র কোরআনে শবে কদরের রাতকে মহিমান্বিত বলা হয়েছে। এই রাতেই পবিত্র আল কোরআন নাজিল হয়েছে। এ রাতের ইবাদতকে হাজার মাসের চেয়ে উত্তম ঘোষণা করে নাজিল হয়েছে সুরা ‘আল-কদর’। এছাড়া সুরা বাকারাতেও এই রাতকে প্রশংসা করা হয়েছে। ‘আল-কদর’ সুরায় আল্লাহ বলেন, ‘আমি একে (কোরআন) নাজিল করেছি কদরের রাতে’।
পবিত্র রমজান মাসের শেষ ১০ দিনের মধ্যে যেকোনো বিজোড় রাত শবে কদর। হযরত উবাইদাহ ইবনে সামেদ (রা.) বর্ণিত হাদিস অনুযায়ী রাসুল (স.) বলেছেন, ‘কদরের রাত রয়েছে রমজানের শেষ ১০ রাতের মধ্যে। তবে অসংখ্য আলেম-ওলামার অভিমত, ২৬ রমজানের দিবাগত রাত, অর্থাৎ ২৭ রমজানে পবিত্র শবে কদর।
কদরের রাতকে ক্ষমা লাভের রাত হিসেবেও ঘোষণা করা হয়। সুরা আল-কদরে বলা হয়েছে, এ রাতে জিবরাইল (আ.) আল্লাহর নির্দেশে পৃথিবীতে নেমে আসেন। শান্তির সব দুয়ার উন্মুক্ত থাকে সূর্যাস্ত থেকে সূর্যোদয় পর্যন্ত। শেষ আয়াতে বলা হয়, ‘এই নিরাপত্তা, যা ফজরের উদয় পর্যন্ত থাকে।’
পবিত্র শবে কদর উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। বাণীতে তাঁরা পবিত্র লাইলাতুল কদর উপলক্ষে দেশবাসী তথা বিশ্বের সব মুসলমানের কল্যাণ কামনা করেছেন।
এদিকে পবিত্র এই রাত উদযাপনের ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানগণ। অনেকে রাতভর ইবাদত-বন্দেগী, জিকির-আসকার এবং স্বজনদের কবর জিয়ারতের মাধ্যমে অতিবাহিত করবেন। দেশ ও মানবতার কল্যাণ কামনা করে মসজিদে মসজিদে বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হবে।