ইজতেমা মাঠসহ আশেপাশের এলাকায় যে কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রস্তুত রয়েছে পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিট র্যাবপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
র্যাবের ৫টি ব্যাটালিয়নের (১, ২, ৩, ৪ ও ১০) এর সমন্বয়ে আকাশপথে র্যাবের হেলিকপ্টার টহল, ডক স্কোয়াড টিম, ফুট পেট্রোলিং, মোবাইল টিম, টহল টিম, সাইবার মনিটরিংসহ ৭ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকছে এবার বিশ্ব ইজতেমায়।
বুধবার (৩১ জানুয়ারি) বেলা ১১ টার দিকে টঙ্গীর কামারপাড়া রোড়ে র্যাবের অস্থায়ী ক্যাম্পে বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষে ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন র্যাব মহাপরিচালক (জিডি) এম খুরশীদ হোসেন।
তিনি বলেন, সার্বিকভাবে সব ধরনের ঝুঁকি পর্যালোচনা করে সার্বক্ষণিক নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি র্যাবও নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবে। রাজধানী ঢাকার সন্নিকটে তুরাগ নদীর তীরে মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের জন্য আয়োজিত বিশ্ব ইজতেমায় বিদেশি মুসল্লিসহ সারাদেশ থেকে বিপুল সংখ্যক ধর্মপ্রাণ মুসলমান অংশগ্রহণ করে থাকেন।
র্যাব ডিজি বলেন, যে কোন উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য র্যাবের স্পেশাল টিম, বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট এবং পর্যাপ্ত স্ট্রাইকিং ও রিজার্ভ ফোর্স সার্বক্ষণিকভাবে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়াও ইজতেমা উপলক্ষে র্যাবের হেলিকপ্টারের মাধ্যমেও টহল প্রদান করা হবে। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সমগ্র ইজতেমা ময়দান ঘিরে র্যাবের অবজারভেশন পোস্ট স্থাপন করা হয়েছে।