বুধবার সকালে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ জেবুন্নাহার আয়শা এ কারাদণ্ডের আদেশ দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন- আপুই মং মারমা (৬৫)। তিনি রোয়াংছড়ি সদর ইউনিয়নের থোয়াই অংগ্যপাড়া গ্রামের মৃত সাপ্রু অং মার্মার ছেলে।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, ১২ বছর পূর্বে বাদী মেসা চিং মারমাকে (৫৪) বিয়ে করেন আপুই মং মারমা। বিয়ের পর মেসা চিং মারমা তার তিন বছরের কন্যাশিশুকে নিয়ে স্বামীর বাড়িতে চলে আসেন। শিশুটি সেখানে লালন পালন হওয়ার ফলে বাবা হিসেবে তাকে চিনেন।
২০২০ সালে ১৫ নভেম্বর থেকে ২০২১ সালে ৩০ জুন পর্যন্ত বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে নিজের সৎমেয়েকে লাগাতার ধর্ষণ করে আসছিলেন। একপর্যায়ে শিশুটি গর্ভবতী হয়ে আপন ভাই হ্লামং সিংয়ের বাড়িতে একটি কন্যাসন্তান প্রসব করেন। এ ঘটনাটি জানাজানি হলে শিশুটির মা মেসা চিং মার্মা তার স্বামীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর বাসিং থুয়াই মারমা জানান, ঘটনার সত্যতা প্রমাণিত হওয়ায় সৎবাবাকে দণ্ড দেন আদালত।