সংখ্যাকে যদি সংক্ষেপে হাজার দিয়ে প্রকাশ করতে হয় তবে এ জন্য ইংরেজি অক্ষর ‘K’ ব্যবহার হয়। বর্তমান ইন্টারনেটের যুগে এটির ব্যবহার বেড়েছে। অধিকাংশ ওয়েবসাইটগুলোতে ব্যবহারকারীর সংখ্যা বা ভিউ কিংবা অর্থ গণনা করতে হাজার সংখ্যাটি বোঝাতে ইংরেজি অক্ষর ‘K’ ব্যবহার করা হয়।
অধ্যাক্ষর ‘M’ ব্যবহার করা হয় মিলিয়নের জন্য, বিলিয়নের জন্য ‘B’ ব্যবহার করা হয়, কিন্তু হাজার তো থাউজ্যান্ড, সে ক্ষেত্রে হাজারের জন্য ‘T’ অক্ষর থাকা উচিত ছিল। তাই অনেকের মনে বিভিন্ন সময় প্রশ্ন দেখা দেয়, হাজারকে কেন ‘K’ লেখা হয়?
হাজার বোঝাতে ‘K’ ব্যবহারের একটি নির্দিষ্ট কারণ রয়েছে। নেপথ্যের এই কারণটি বেশ মজার।
অতীতে অনেক পশ্চিমা দেশ গ্রিক ও রোমান সংস্কৃতি দ্বারা প্রভাবিত ছিল। হাজারের জন্য ‘K’ অক্ষরের ব্যবহারও সেই সংস্কৃতি থেকে এসেছে। গ্রীক ভাষায় ‘χίλιοι’ মানে হাজার। এর উচ্চারণ অবশ্য ‘চিলিওই’। যেখান থেকে এই প্রতীকটি এসেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ফরাসিরা পরবর্তীতে গ্রীক ‘χίλιοι’/‘চিলিওই’ শব্দকে ছোট করে কিলো করে। এরই ধারাবাহিকতায় কিলোমিটার, কিলোগ্রামের বলা শুরু হয়। যেহেতু কিলোগ্রামে ১ হাজার গ্রাম আছে, তাই হাজারের জন্য ‘K’ চিহ্নটির ব্যবহার চালু হয়।
খুব অল্প সময়ের মধ্য ‘K’ প্রতীক গ্রহণযোগ্যতা পায়। বিশেষ করে আর্থিক হিসাব–নিকাষের ক্ষেত্রে বহুল ব্যবহৃত হয়ে ওঠে ‘K’।