বার্তা বিভাগ :
কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে মৌসুমী অপরাধীরা সক্রিয় হয়ে উঠছে চট্টগ্রামে। এসময়ে ছিনতাই, বিভিন্ন প্রতারণা ও অজ্ঞান পার্টির উৎপাত বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
করোনার এই দুঃসময়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক থাকলেও অপরাধীরা চুপ করে নেই। মানুষকে নাজেহাল করার জন্য নতুন নতুন ফন্দি আঁটছে অপরাধী চক্র। এছাড়া ঈদকে সামনে রেখে চলে সালাম পার্টি, গামছা পার্টি, মলম পার্টি, থুথু পার্টি, ধাক্কা পার্টিসহ নানান অপরাধী চক্রের দৌরাত্ম্য। সক্রিয় রয়েছে পকেটমার চক্রের সদস্যরাও। এলাকা ভিত্তিক চাঁদাবাজরাও এসময় সক্রিয় থাকে বেশি। মাঝে মধ্যে পুলিশের হাতে অপরাধ চক্রের কিছু সদস্য ধরা পড়লেও অধিকাংশই থাকে অধরা। আবার যাদের গ্রেফতার করা হয় তারাও আইনের ফাঁক গলে বাইরে এসে আবারও একই কাজ করে থাকে।
চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ (সিএমপি) সূত্রে জানা গেছে, অপরাধীদের দমনে নগর জুড়ে পুলিশ টহল, চেকপোস্ট বাড়ানো হয়েছে। গোয়েন্দা নজরদারিও আছে। অপরাধীরা ধরাও পড়ছে। সালাম পার্টি, মলম পার্টি, থুথু পার্টি, ধাক্কা পার্টি-অনেক পার্টির সমাহার ঘটে কোরবানির ঈদের আগে। তাদের প্রকৃত পরিচয় ছিনতাইকারী। এরা আগেও ছিল। তবে ঈদে-চাঁদে এদের তৎপরতা বেড়ে যায়। ঈদ সামনে রেখে পুলিশ টহল ও সাদা পোশাকে অবস্থান বাড়ালেও অপরাধীদের দৌরাত্ম্য চলছে সমান তালে। সুযোগের অপেক্ষায় থাকে তারা।
জানা গেছে, চট্টগ্রাম নগরীতে ১১১টি চিহ্নিত ছিনতাই স্পট রয়েছে। এসকল ছিনতাই প্রবণ এলাকায় ছিনতাইকারীদের সর্বশেষ তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান জোরদার করার নির্দেশ দিয়েছেন সিএমপি কমিশনার মো. মাহবুবর রহমান।
অপরদিকে কোরবানির ঈদ এবং গরুবাজারকে কেন্দ্র করে এসময় সক্রিয় হয়ে ওঠে জালনোট কারবারীরা। পুলিশকে সে দিকেও সতর্ক থাকা জরুরী বলে মনে করেন অপরাধ বিশ্লেষকরা। এক্ষত্রে গরুর হাটগুলোতে জাল টাকা সনাক্তকরণ মেশিন বসানোসহ গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছেন বিশ্ষেজ্ঞরা।