যতদিন জনগণ ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে না পারবে ততদিন আন্দোলন অব্যাহত থাকার কথা বলেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন।
মঙ্গলবার দুপুরে সিলেট নগরের একটি রেস্টুরেন্টের হলরুমে মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সভায় এ কথা বলেন তিনি।
জাহিদ হোসেন বলেন, বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে ১৭ বছর ধরে গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারের জন্য লড়াই করছি।
“আমরা এখানও আন্দোলনে আছি, যতদিন জনগণ ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে না পারবে ততদিন আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। ভোটাধিকারের মাধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।”
আওয়ামী লীগ সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, “আন্দোলনের ফলে জনগণের বিজয় অর্জিত হয়েছে ৫ অগাস্ট। জনগণের বিজয়ের মাধ্যমে শিশু ও গণহত্যাকারীরা পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। এখন আমাদের দেশকে গড়তে হবে। জনগণের মালিকানা জনগণকে ফিরিয়ে দিতে চাই।
“১৭ বছর জনগণ ভোটাধিকার হারা। তাদের ভোটাধিকার ফেরত দিয়ে ভোটে নির্বাচিত সরকার গঠন করতে হবে। জনস্রোতে স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ভেসে গেছে। এ ক্ষেত্রে তারেক রহমানের নেতৃত্বে দেশ স্বৈরাচারমুক্ত হয়েছে।”
দেশের মুক্তিকামী জনতা যে ইতিহাস তৈরি করেছেন; তা পুরো পৃথিবীর ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে বলে মত বিএনপির এই নেতার।
আওয়ামী লীগ দেশের রাজনীতি ও অর্থনীতি ধ্বংস করেছে দাবি করে জাহিদ হোসেন বলেন, তারা দেশকে লুটপাট ও মাফিয়া রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলেও তার কিছু দোসর এখনও দেশে রয়ে গেছে; যারা আবারও দেশকে আক্রমণ করতে পারে।
বিএনপি দেশের মানুষের সামনে রাজনীতির কিছু মৌলিক বিষয় পরিবর্তনে ৩১ দফা প্রস্তাব উপস্থাপন করেছে বলে জানান তিনি।
বক্তব্যের এক পর্যায়ে জাহিদ হোসেন সিলেটের জনপ্রিয় নেতা এম ইলিয়াস আলী, ইফতেখার আহমদ দিনার, জুনেদ আহমদ এবং আনসার আলীকে সুস্থ অবস্থায় ফিরে পাওয়ার দাবি জানান।
সিলেট মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরীর পরিচালনায় এতে বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা এনামুল হক চৌধুরী ও আরিফুল হক চৌধুরী, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক জিকে গউছ, সহসাংগঠনিক সম্পাদক কলিম উদ্দিন মিলন ও মিফতাহ সিদ্দিকী, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান চৌধুরী ও হাদীয় চৌধুরী মুন্নী, মহানগর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক আব্দুল কাইয়ুম জালালী পংকী এবং সাবেক সাধারণ সম্পাদক বদরুজ্জামান সেলিম বক্তব্য দেন।