1. [email protected] : Administrator :
  2. [email protected] : mukulislam :
  3. [email protected] : newsman :
  4. [email protected] : Osman Goni : Osman Goni
  5. [email protected] : Yousuf :
স্বাস্থ্যবিধি মেনে পবিত্র হজ্ব শুরু আজ - SHAPLA TELEVISION
June 8, 2025, 5:41 am

স্বাস্থ্যবিধি মেনে পবিত্র হজ্ব শুরু আজ

Reporter Name
  • Update Time : বৃহস্পতিবার, জুলাই ৩০, ২০২০
  • 349 Time View
পবিত্র কাবা শরীফ (ফাইল ছবি)।

বার্তা বিভাগ :
যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে আজ বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হচ্ছে পবিত্র হজ্ব। আজ আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করাই হজ্বের মূল আনুষ্ঠানিকতা।
এই ময়দানে আজ ধ্বনিত হবে ‘লাব্বাইক, আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লা শারিকা লাকা লাব্বাইক, ইন্নাল হামদা ওয়াননি’মাতা লাকা ওয়াল মুলক্।’ (আমি হাজির, হে আল্লাহ আমি হাজির, তোমার কোনো শরিক নেই, সব প্রশংসা ও নিয়ামত শুধু তোমারই, সব সাম্রাজ্যও তোমার)। আজ কাবা শরিফে নতুন গিলাফও পরানো হবে।
করোনাভাইরাস সংক্রমণে বৈশ্বিক মহামারির কারণে এবার অতি স্বল্পসংখ্যক হজ্বযাত্রী নিয়ে হজ্ব হচ্ছে সীমিত পরিসরে। শুধু সৌদি নাগরিকদের অংশগ্রহণে এই হজ্ব ঐতিহাসিক হয়ে থাকবে। কারণ এবার সৌদি আরবের বাইরের কোনো দেশ থেকে হজ্বে অংশগ্রহণ করতে পারছেন না কেউ। মহামারি করোনার কারণে এ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।
আর্থিক ও শারীরিকভাবে সমর্থ মুসলিম পুরুষ ও নারীর জন্য হজ্ব ফরজ। এবার যাঁরা হজ্ব করছেন, তাঁরা আজ সূর্যাস্তের আগপর্যন্ত আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করে মহান আল্লাহর জিকিরে মশগুল থাকবেন।
জানা গেছে, সৌদি সরকার এবার হজ্বযাত্রীদের ভিআইপি হিসেবে খেদমতের ব্যবস্থা করেছে। হজ্বের আগে পাঁচ তারকা হোটেলে থাকা, উন্নত মানের খাবার, যাতায়াত, চিকিৎসাসহ সব সেবা বিনামূল্যে দেওয়া হচ্ছে। জোরদার করা হয়েছে সর্বোচ্চ নিরাপত্তাব্যবস্থা। একাধিক নিরাপত্তাচৌকি বসানো হয়েছে, অনুমোদিত হজ্বযাত্রী ছাড়া অন্য কেউ প্রবেশ করলে তাঁদের ১০ থেকে ২০ হাজার রিয়াল জরিমানা করা হবে।
প্রতিটি বাসে সর্বোচ্চ ২০ জন করে হজ্বযাত্রী চলাচল করছেন। প্রতিদিন তাঁদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও পরিচর্যা করা হচ্ছে। স্বাস্থ্যসম্মত খাবারের পাশাপাশি ইসলামি উন্নয়ন ব্যাংকের মাধ্যমে কোরবানির ব্যবস্থা থাকবে। হাজার হাজার নিরাপত্তাকর্মী, চিকিৎসক ও স্বেচ্চ্ছাসেবক নিয়োজিত থাকবেন। মিনায় শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে সর্বোচ্চ ৫০ জন একত্রে পাথর নিক্ষেপ করতে পারবেন। নিক্ষেপের নুড়িপাথর হজ কর্তৃপক্ষ বিশেষ ব্যাগের মাধ্যমে সরবরাহ করবে।
সীমিত পরিসরে ২৯ জুলাই বুধবার মিনায় যাওয়ার মাধ্যমে শুরু হয় হজ্বের কার্যক্রম। যাঁরা আগে হজ্ব করেননি, কেবল তাঁরাই এবার হজ্বের সুযোগ পেয়েছেন। অংশগ্রহণকারীদের সবাইকে বাধ্যতামূলক সাত দিনের আইসোলেশনে রাখা হয়। মক্কায় আসা নির্বাচিত হজ্বযাত্রীদের আগে থেকেই শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা করে আলাদা আলাদা স্থানে রাখা হয়। স্বাস্থ্যকর্মীরা তাঁদের ব্যাগপত্র জীবাণুমুক্ত করেন। স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তাকর্মীরা পবিত্র মক্কা ও কাবা শরিফের চারদিকে জীবাণুমুক্ত করতে বিশেষভাবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করেছেন। কোনো হজ্বযাত্রীকে কাবা শরিফ স্পর্শ করতে দেওয়া হচ্ছে না। এবার যথাযথ দূরত্ব (৫ ফুট) বজায় রেখে তাওয়াফ, নামাজে অংশগ্রহণ, সা’ঈ সহ হজ্বের সব কার্যক্রম পালন করতে হচ্ছে।
আরাফাত ময়দানের তিন দিক পাহাড়বেষ্টিত। মাঝে দুই মাইল দৈর্ঘ্য ও দুই মাইল প্রস্থের এই সমতল ভূমি। জাবাল মানে পাহাড়। জাবালে রহমত হলো রহমতের পাহাড়। রাসুল হজরত মুহাম্মদ (সা.) জাবালে রহমত পাহাড়ের কাছে দাঁড়িয়ে বিদায় হজের ভাষণ দিয়েছিলেন। একে কেউ কেউ দোয়ার পাহাড়ও বলেন। ঐতিহাসিক আরাফাতের ময়দানে বিশ্ব মুসলিমের মহাসম্মিলন স্মরণ করিয়ে দেয় আদি পিতা হজরত আদম (আ.) ও আদি মাতা হজরত হাওয়ার (আ.) পুনর্মিলনের ঘটনাকে।
হাজিরা আজ সূর্যাস্ত পর্যন্ত আরাফাতে অবস্থানের পর মুজদালিফায় গিয়ে মাগরিব ও এশার নামাজ আদায় করবেন। রাতে সেখানে অবস্থান করবেন। শয়তানের প্রতিকৃতিতে পাথর নিক্ষেপের জন্য প্রয়োজনীয় পাথর সংগ্রহ করবেন সেখান থেকে।
মুজদালিফায় ফজরের নামাজ আদায় করে হাজিরা মিনায় ফিরবেন। মিনায় বড় শয়তানকে সাতটি পাথর মারার পর পশু কোরবানি দিয়ে মাথার চুল ফেলে দিয়ে গোসল করবেন। সেলাইবিহীন দুই টুকরা কাপড় বদল করবেন। এরপর স্বাভাবিক পোশাক পরে মিনা থেকে মসজিদুল হারামে গিয়ে কাবা শরিফ সাতবার তাওয়াফ করবেন।
কাবার সামনের দুই পাহাড় সাফা ও মারওয়ায় ‘সাঈ’ (সাতবার দৌড়াবেন) করবেন। সেখান থেকে তাঁরা আবার মিনায় যাবেন। মিনায় যত দিন থাকবেন, তত দিন তিনটি (বড়, মধ্যম, ছোট ) শয়তানকে ২১টি পাথর নিক্ষেপ করবেন।
খুতবা ও গিলাফ
আজ আরাফাতের ময়দানে খুতবার পর জোহর ও আসরের নামাজ আদায় করবেন মুসল্লিরা। আরাফাতের ময়দানে মসজিদে নামিরাহ থেকে হজ্বের খুতবা দেওয়া হবে।
এ বছর হজ্বের খুতবা দেবেন শায়খ ড. আবদুল্লাহ বিন সোলায়মান আল মানিয়া। তাঁর বয়স ৯২ বছর, তিনিই সবচেয়ে বেশি বয়সের খতিব।
প্রতিবছর হজ্বের দিন কাবা শরিফের গায়ে নতুন গিলাফ পরানো হয়। সেই ধারাবিহকতায় আজও কাবা শরিফে নতুন গিলাফ পরানো হবে। হাজিরা তখন আরাফাতের ময়দানে থাকবেন। আরাফাত থেকে ফিরে এসে তাঁরা কাবা শরিফের গায়ে নতুন গিলাফ দেখতে পাবেন। এই গিলাফ বা কিসওয়া তৈরিতে ব্যবহৃত হয় কালো রঙের ৬৭০ কেজি খাঁটি রেশম। পবিত্র কাবা শরীফের পুরোনো গিলাফকে টুকরা করে বিভিন্ন দেশের ইসলামিক বিশিষ্ট ব্যক্তি ও রাষ্ট্রপ্রধানদের উপহার হিসেবে দেওয়া হয়।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© All rights reserved © 2020
Theme Customized By LiveTV