বার্তা বিভাগ :
শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চলতি বছরের প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) ও সমমান এবং জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা না নেওয়ার প্রস্তাব চূড়ান্ত হতে পারে। প্রস্তাবটি চূড়ান্ত হলে সারসংক্ষেপ প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হবে।
তথ্য অনুযায়ী, এই দুই সমাপনী না হলেও পরবর্তী ক্লাসে উত্তীর্ণের জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো নিজেরা শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের ভিত্তিতে বা সম্ভব হলে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে পরীক্ষা নেবে।
গত সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিবের সাথে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের একটি সভা হয়েছে, সেখানে এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
তবে আইনগত বাধ্যবাধকতার থাকায় যে কোন উপায়ে এইচএসসি পরীক্ষা নেয়া হবে। স্বাস্থ্য বিধি মেনে এই পরীক্ষা নেয়ার জন্য রোডম্যাপ তৈরির প্রস্তুতি চলছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব আকরাম আল হোসেন বলেন, গত সপ্তাহে তিন সচিবের সাথে মুখ্য সচিবের বৈঠক হয়েছে। ওই সভার প্রেক্ষিতে আমাদের এ বিষয়ে প্রস্তাব পাঠাতে বলা হয়েছে, আমরা সারসংক্ষেপ তৈরি করেছি। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ও সারসংক্ষেপ তৈরি করছে। আগামী সপ্তাহের শুরুর দিকে (রবি-সোমবার) প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হবে। এবার যাতে প্রাথমিক ও ইবতেদায়ী এবং জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা নিতে না হয় সেজন্য এই সারসংক্ষেপ প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হবে বলে তিনি জানান।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেন, কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে বিশেষজ্ঞরা যে সুপারিশ করেছেন তা এ সপ্তাহে চূড়ান্ত করবো। এরপর তা প্রকাশ করা হবে। আমরা শিক্ষার্থীদের সুরক্ষা ও শিক্ষা জীবন সুষ্ঠু ও স্বাভাবিক রাখতে পরবর্তী ব্যবস্থা নেবো।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন বলেন, সচিবদের বৈঠকে যে আলোচনা হয়েছে সে অনুযায়ী প্রস্তাব পাঠানো হবে। এছাড়া মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে পৃথক প্রস্তাবও পাঠানো হবে। আশা করি এই দুই প্রস্তাব একই হবে।
প্রাথমিক, ইবতেদায়ী, জেএসডিও জেডিসিতে প্রায় অর্ধকোটি শিক্ষার্থী অংশ নেয়। এত সংখ্যক শিক্ষার্থীর সাথে জড়িত কয়েক কোটি মানুষ। পরীক্ষা নিয়ে উদ্বিগ্ন তারা। এ কারণে সরকারের কাছ থেকে দ্রুত এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত চান তারা।