শিক্ষা ডেস্ক :
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছুটি বাড়ানোর পাশাপাশি আগেই বাতিল করা হয়েছে এবছরের প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা (পিইসি) বাতিলের পর এবার জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সর্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষাও বাতিল করা হয়েছে।
২৭ আগস্ট বৃহস্পতিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল খায়ের জানান, ২০২০ সালের জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে না।
তবে পরবর্তী ক্লাসে উত্তীর্ণ হওয়ার ক্ষেত্রে কী ধরণের পদ্ধতি অবলম্বন করা হবে সে বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। মন্ত্রণালয় বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে বলে জানান আবুল খায়ের।
জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০ অনুযায়ী, প্রাথমিক স্তরকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত নিতে বলা হয়েছে। পঞ্চম ও অষ্টমে দুই সমাপনী পরীক্ষা গ্রহণেরও কথা বলা হয়েছে শিক্ষানীতিতে। গত কয়েক বছর ধরে পঞ্চম ও অষ্টমে কেন্দ্রীয়ভাবে সমাপনী পরীক্ষা নিয়ে আসছে সরকার।
এবছর করোনা সংক্রমণের কারণে এর আগে প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা গ্রহণ না করে নিজ স্কুলে বার্ষিক পরীক্ষা নিয়ে মূল্যায়নের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষা না নিতে গত ২০ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল।
এর আগে প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা না নিয়ে স্কুলে স্কুলে মূল্যায়নের জন্য প্রস্তাবে অনুমোদন চেয়ে গত ১৯ আগস্ট সার-সংক্ষেপ পাঠায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। গত ২৫ আগস্ট তাতে সম্মতি এলে পঞ্চমের দুই সমাপনী এ বছরের জন্য বাতিল করে স্কুলে স্কুলে বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত জানায় সরকার।
মহামারির কারণে গত ১৭ মার্চ থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের মধ্যে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে টিভিতে ক্লাস সম্প্রচার করা হচ্ছে। আর উচ্চ মাধ্যমিক এবং উচ্চ শিক্ষাস্তরে অনলাইনে ক্লাস পরিচালনা করছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো।
এদিকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটিও বাড়ানো হয়েছে, পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী আগামী ৩১ আগস্ট থেকে ছুটি বাড়িয়ে ৩ অক্টোবর পর্যন্ত নেওয়া হয়েছে। তবে গত ২৪ আগস্ট কওমি মাদরাসা খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের কারণে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। গত ১ এপ্রিল থেকে এই পরীক্ষা শুরুর কথা ছিল। বৃহস্পতিবার (২৭ আগস্ট) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক সভায় এইচএসসি পরীক্ষা ও মাধ্যমিক পর্যায়ের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পরবর্তী ক্লাসে উত্তীর্ণের বিষয়ে বিকল্প মূল্যায়ন পদ্ধতি কী হতে পারে তা জানাতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।