বার্তা বিভাগ :
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দক্ষতার কারণে এদেশে করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে রয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, অনেকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সমালোচনা করে। কিন্তু স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় যথেষ্ঠ দক্ষতার পরিচয় দিয়েছে বলেই আমরা কোভিড-১৯ নিয়ন্ত্রণ রাখতে পেরেছি।
তিনি বলেন, আমি মনে করি যে, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় যথেষ্ঠ দক্ষতার পরিচয় দিয়েছে এবং সেইসময় তাৎক্ষণিকভাবে যে কাজগুলো করার দরকার ছিল সেটা যথাযথভাবে করা হয়েছে বলেই আমরা কোভিড-১৯ নিয়ন্ত্রণ রাখতে পেরেছি।
গণভবন থেকে বৃহস্পতিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকালে মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোর ২০২০-২০২১ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) সই এবং এপিএ ও শুদ্ধাচার পুরস্কার দেওয়ার অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভার্চ্যুয়াল মাধ্যমে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে যুক্ত হয়ে এ অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
জনপ্রশাসন কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কে কী বললো, কে কী লিখলো ওইদিকে কান দিলে কোনো কাজ করতে পারবেন না। আপনার নিজের বিশ্বাস থাকতে হবে। নিজের ওপর আস্থা খাকতে হবে যে আপনি সঠিক কাজটি করছেন কি না? যদি সেই আস্থাটা থাকে, তাহলে সে কাজের ফল দেশবাসী পাবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুর্যোগ আসবে। কিন্তু সেই দুর্যোগ মোকাবিলা করে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। আমাদের অর্থনীতি যাতে কোনোরকম বাধাগ্রস্ত না হয় বা গতিশীল থাকে, সেজন্য আমরা যে প্রণোদনা প্যাকেজগুলো দেওয়া শুরু করলাম; এটা কিন্তু পৃথিবীর কোনো দেশ আমাদের আগে দিতে পারেনি। আমরাই প্রথম।
অর্থমন্ত্রণালয় সাধারণত কিছু দিতে গেলে তো হাত টেনে রাখে, কিপটেমি করে। এবারে কিন্তু কিপটেমি করেনি। সবাইকে হাত খুলে যেখানে যেটা দরকার আমরা দিয়ে দিয়েছি। সেভাবে দেওয়া হয়েছে বলেই আজকে আমাদের প্রণোদনা প্যাকজ দিলাম। এ প্রণোদনা প্যাকেজ দেওয়ার ফলে আমাদের অর্থনীতির চাকাটা সচল থেকেছে। মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রায় ৪ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ। আমরা প্রণোদনা প্যাকেজ হিসাবে দিয়েছি। নগদ টাকা দিয়েছি। সরকারি টাকার বাইরে আমি নিজে অর্থ সংগ্রহ করে সহায়তা দিয়েছি।
শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের দেশে এক শ্রেণির লোক থাকে, তাদের সমালোচনাটা করাই অভ্যাস। পান থেকে চুন খসলে পরে অনেক কথা বলবে, কিন্তু নিজেরা কিছু করবে না। আমি মনে করি, আমরা সঠিক পথে আছি কী না এটা নিজের আত্মবিশ্বাসের ওপর নির্ভর করে। তাই সবাই যখন কাজ করবেন, আত্মবিশ্বাস নিয়ে করবেন।