চলমান লকডাউনে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে ঈদের কেনাকাটা করতে আসা অন্তত ৬১ জনকে জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত (মোবাইল কোর্ট)।
৫ মে বুধবার চট্টগ্রাম নগরীর টেরিবাজার, রিয়াজউদ্দিন বাজার, চকবাজার, বায়েজিদ, খুলশীসহ কয়েকটি মার্কেটে এসকল জরিমানা করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ঈদ শপিংয়ে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে ১০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করছেন। তাঁরা ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়কে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে সচেতনতা চালান।
সূত্র জানায়, অতিমারি করোনার সংক্রমণ রোধে ঈদ বাজারে স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে নজরদারি করছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন। এরই অংশ হিসেবে বুধবার ১০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নগরীর টেরিবাজার, রিয়াজউদ্দিন বাজার, তামাকুমন্ডি লেইন সহ বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।
এ সময় ৬১ মামলায় ৩৬ হাজার ৭০০ টাকা অর্থদন্ড আদায়ের পাশাপাশি ৪০০ মাস্ক বিতরণ করা হয়েছে।
জানা গেছে, টেরিবাজারে অভিযান চালিয়েছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিবেদিতা চাকমা। তিনি ৯ জনকে ৭ হাজার ২০০ টাকা জরিমানা করেন। একই বাজারে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলী হাসান ১১ জনের কাছ থেকে ১০ হাজার ৭০০ টাকা জরিমানা আদায় করেন। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. রাজিব হোসেন রিয়াজউদ্দিন বাজার ও তমাকুমন্ডি লেইন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ২৪ জনকে ১১ হাজার ১০০ টাকা জরিমানা করেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুরাইয়া ইয়াসমিন রিয়াজউদ্দিন বাজার এলাকায় ৯ জনকে জরিমানা করেন ৩ হাজার ২০০ টাকা। একই এলাকায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মিজানুর রহমান ৮ জনের কাছ থেকে সাড়ে ৪ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।
অপরদিকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আতিকুর রহমান খুলশী ও বায়েজিদ, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নূরজাহান আক্তার সাথী চকবাজার এলাকায় করোনা সচেতনতা সৃষ্টির পাশাপাশি বিনামূল্যে মাস্ক বিতরণ করেন।
এছাড়া বৃধবার সন্ধ্যার পর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী, গালিব চৌধুরী ও আবদুল্লাহ আল মামুনের নেতৃত্বে নগরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হয়।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকান-পাট চালানোর কথা বলে লকডাউনে শপিংমল খোলার অনুমতি নিলেও অনেক ব্যবসায়ী স্বাস্থ্যবিধিকে তোয়াক্কা করছেননা। ক্রেতাদের অনেকেও উপেক্ষা করছেন যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি। এতে করে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হবে বলে মনে করছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞগণ।