বার্তা বিভাগ :
‘দেশীয় ঐতিহ্যের ধারক’ এই শ্লোগানকে সামনে নিয়ে মিডিয়া জগতে পথচলা শুরু করেছিলো শাপলা টেলিভিশন। নানান সীমাবদ্ধতার মধ্যেও এই গণমাধ্যমটি একবছর অতিক্রম করে পা রাখলো দ্বিতীয় বর্ষে।
তবে করোনাভাইরাস সংক্রমণ সংক্রান্ত স্বাস্থ্যবিধির কারণে যথাসময়ে এবং জাঁকজমকপূর্ণভাবে বর্ষপূর্তি উদযাপন থেকে বিরত রয়েছে সংবাদ সংস্থাটি। এরপরও ‘শাপলা টেলিভিশন’ নামটি নিবন্ধিত হওয়ার সময়টিকে কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করতে অত্যন্ত সীমিত পরিসরে ঘরোয়াভাবে কেবল নিজেদের লোকজনকে নিয়ে শনিবার প্রথমবর্ষ পূর্তি উদযাপন করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
শাপলা টেলিভিশন চট্টগ্রাম কার্যালয়ের উদ্যোগে নগরীর আগ্রাবাদ ছোটপুল এলাকাস্থ শাপলা কমিউনিটি সেন্টারে সাধ্যমতো স্বাস্থ্যবিধি মেনে কেক কেটে প্রথম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক প্যানেল মেয়র আলহাজ্ব মোহাম্মদ হোসেন, চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের বেসরকারি কারা পরিদর্শক আজিজুর রহমান আজিজ, চট্টগ্রাম বুয়েট ক্লাবের জয়েন্ট সেক্রেটারী ইঞ্জিনিয়ার নুরুল আব্বাস আদনান, হোসেন আহাম্মদ চৌধুরী সিটি কর্পোরেশন কলেজের প্রভাষক মোহাম্মদ ফারুক, অসহায় নারী-পুরুষ ও শিশু কল্যাণ ফাউন্ডেশণ নেতা মোহাম্মদ সেলিম উল্লাহ, ব্যবসায়ী ফারুক, আমানত হোসেন, জাহাঙ্গীর আলম, বিউটিশিয়ান শিরিন সুলতানা, সাংবাদিক মশিউর রহমান নয়ন, সাংস্কৃতিক কর্মী সারওয়ার জাহান ড্যানি প্রমুখ। শাপলা টেলিভিশনের পক্ষে তাঁদেরকে স্বাগত জানান সিইও এইচ এম ওসমান গনি চৌধুরী, সম্পাদনা সহকারী মনজুর আহম্মেদসহ অন্যান্য কর্মকর্তাগণ।
আলহাজ্ব মোহাম্মদ হোসেন আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, স্থানীয় এবং জাতীয় পর্যায়ের ইতিবাচক সংবাদগুলোকে তুলে আনতে শাপলা টেলিভিশন কাজ করলে দেশ ও দশের কল্যাণ সাধিত হবে। এটি প্রকৃত অর্থেই যেন গণমাধ্যম হয়ে উঠে সে শুভকামনা জানান তিনি।
বেসরকারি কারা পরিদর্শক আজিজুর রহমান আজিজ বলেন, এখন গণমাধ্যম অনেক শক্তিশালী এবং বিস্তৃত। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান আওয়ামীলীগ সরকারের সদিচ্ছার কারণেই এটি সম্ভব হয়েছে। শাপলা টেলিভিশনের অনলাইন সংবাদের প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, গতানুগতিক সংবাদ পরিবেশনের বাইরে গিয়ে শাপলা টেলিভিশন আশাব্যাঞ্জক অনেক সংবাদ তুলে এনেছে। এই ধারাকে আরও সম্প্রসারিত করে দেশকে সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে নিতে সহায়ক হবে বলে তিনি প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
শাপলা টেলিভিশনের বার্তা প্রধান এমরানুল ইসলাম মুকুল বলেন, আমাদের জাতীয় ফুল শাপলা’র নামে যে গণমাধ্যম, সেটি অবশ্যই দেশের সার্বিক কল্যাণের জন্যই কাজ করতে সচেষ্ট থাকবে। শাপলা ফুলের অসংখ্য দৃষ্টিনন্দন পাপড়ির মতো শাপলা টেলিভিশনও সমাজের সুন্দর ও ইতিবাচক বিষয়গুলোকে দর্শক-শ্রোতাদের সামনে বস্তুনিষ্ঠভাবে উপস্থাপনের জন্য আন্তরিকভাবে দায়িত্ব পালন করবে বলে প্রতিশ্রুতি দেন বার্তা প্রধান।
সিইও এইচ এম ওসমান গনি চৌধুরী এসময় শাপলা টেলিভিশনের প্রচার ও প্রসারে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।