চট্টগ্রাম অফিস :
নিখোঁজের একবছর পর এনজিও কর্মকর্তা হেলালের গলিত মরদেহ চট্টগ্রাম জেলার ফটিকছড়ির পাহাড় থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআিই)।
জানা গেছে, ঢাকা থেকে চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে তক্ষক কিনতে এসে এক বছর আগে নিখোঁজ হয়েছিলেন ঢাকার মুগদা থানার মদিনাবাগ এলাকার বাসিন্দা মো. হেলাল উদ্দিন। তিনি সেতুবন্ধন নামে একটি এনজিওতে কর্মরত ছিলেন।
১৯ নভেম্বর বৃহস্পতিবার ফটিকছড়ি উপজেলার ভূজপুর থানাধীন বাগানবাজার ইউনিয়নের নুরপুর এলাকার একটি পাহাড় থেকে পুঁতে রাখা অবস্থায় হেলালের গলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পিবিআই।
পিবিআই চট্টগ্রাম জেলার পুলিশ সুপার নাজমুল হাসান জানান, ভূজপুর বাগানবাজার ইউনিয়নের নুরপুর এলাকার একটি পাহাড় থেকে পুঁতে রাখা একটি গলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মরদেহটি ঢাকার মুগদা থানার মদিনাবাগ এলাকার বাসিন্দা মো. হেলাল উদ্দিনের। তিনি গত বছর নভেম্বরে নিখোঁজ হয়েছিলেন।
নাজমুল হাসান আরও জানান, গত বছর ১৮ নভেম্বর ঢাকা থেকে ফটিকছড়িতে একটি চক্রের কাছে তক্ষক কিনতে এসেছিলেন হেলাল উদ্দিন। দাম নিয়ে চক্রটির সঙ্গে কথা কাটাকাটি হলে তারা হেলালকে ভুজপুর থানার চিকনছড়া এলাকায় আটকে রাখে। পরে হেলালের স্ত্রী কানিজ ফাতেমার কাছে ৩ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। হেলালের পরিবার ৯ হাজার টাকা পাঠিয়েছিল তাদের। পরে তারা হেলালকে হত্যা করে মরদেহ নুরপুর এলাকার একটি পাহাড়ে পুঁতে রাখে।
তিনি জানান, হেলালের কোনো খোঁজ না পেয়ে তার পরিবার ভূজপুর থানায় মামলা দায়ের করে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে মামলাটির তদন্তভার পিবিআইতে হস্তান্তর হয়। জুলাই মাসে পিবিআই জাকির হোসেন রুবেল নামে একজনকে গ্রেফতার করে। রুবেল আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়ে জানায়, তার মোটরসাইকেলে করে হেলালকে রাজা ভাই নামে একজনের বাড়িতে পৌঁছে দেয়। সেখানে ইসমাইল, সাদ্দাম ও বিল্লালকে দেখেছিলেন।
নাজমুল হাসান জানান, এ মামলায় বুধবার বিল্লাল ও রাজা মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর তারা হেলালের মরদেহ নুরপুর এলাকার একটি পাহাড়ে পুঁতে রেখেছিল বলে জানায়। বিল্লালের দেখানো মতে পুঁতে রাখা মরদেহটি বুধবার থেকে অভিযান শুরু করে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উদ্ধার করা হয়েছে।
এব্যাপারে পরবর্তী কার্যক্রমের জন্য এবং ময়না তদন্তের জন্য লাশ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পিবিআই পুলিশ সুপার নাজমুল হাসান।