চট্টগ্রাম অফিস :
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সহিংসতা ও সংঘর্ষে ১২ ও ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে দুইজন নিহত হয়েছেন। বুধবার (২৭ জানুয়ারী) ভোট গ্রহণের শুরুতেই এই দুই ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, পাহাড়তলী থানাধীন ১২ নম্বর সরাইপাড়া ওয়ার্ডের বারকোয়ার্টার এলাকায় ভাইয়ের হাতে ভাই খুন হন। অপরদিকে ১৩ নম্বর পাহাড়তলী ওয়ার্ডের আমবাগান এলাকায় ভোটকেন্দ্রে সংঘর্ষের ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন আরেক যুবক।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আজ বুধবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে পাহাড়তলী থানাধীন বারকোয়ার্টার এলাকায় ছোট ভাইয়ের ছুরিকাঘাতে খুন হয়েছেন বড় ভাই নিজাম উদ্দীন মুন্না। তারা দুই ভাই দুই কাউন্সিলর প্রার্থীকে সমর্থন করতেন।
পুলিশ জানায়, দুই ভাইয়ের মধ্যে পূর্ববিরোধ ছিল। এরই মধ্যে নির্বাচনে তারা আওয়ামীলীগ সমর্থিত ও বিদ্রোহী প্রার্থী সমর্থনকে কেন্দ্র করে বিরোধ আরও বেড়ে যায়। ভোটের দিন সকালে তারা ঝগড়ায় লিপ্ত হয়। একপর্যায়ে ছোটভাই সালাউদ্দিন কামরুলের ছুরিকাঘাতে নিহত হন বড় ভাই মুন্না। নিহত নিজাম উদ্দীন মুন্না সাবেক কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী সাবের আহমদের সমর্থক ও অভিযুক্ত সালাউদ্দীন কামরুল আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী নুরুল আমিনের সমর্থক।
পাহাড়তলী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রাশেদুল ইসলাম জানান, বারকোয়ার্টার এলাকায় ছুরিকাঘাতে নিজাম উদ্দীন মুন্না নামে একজন নিহত হয়েছে। তার ভাই সালাউদ্দীন কামরুল ছুরিকাঘাত করেছে বলে জানা গেছে। রাশেদুল ইসলাম বলেন, মুন্না ও কামরুলের মধ্যে পূর্ব থেকে বিরোধ ছিল। অভিযুক্তকে আটকের চেষ্টা চলছে।
অপরদিকে ভোট গ্রহণ শুরু হতেই ১৩ নম্বর পাহাড়তলী ওয়ার্ডের ইউসেফ আমবাগান টেকনিক্যাল স্কুল ভোটকেন্দ্রে সংঘর্ষ বাধে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকালে ভোটগ্রহণ শুরুর পর ওই ভোটকেন্দ্রে আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী ওয়াসিম উদ্দিন চৌধুরী এবং বিদ্রোহী প্রার্থী মাহামুদুর রহমানের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন আলাউদ্দিন নামের এক যুবক। তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। সংঘর্ষে আরও ৪ জন আহত হয়েছেন। এসময় একটি মোটরসাইকেলও পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
নিহত আলাউদ্দিন কুমিল্লা জেলার সুলতান মিয়ার ছেলে। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই আলাউদ্দিন তালুকদার এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।